কৃত্রিম মেধা নিয়ে কী মত বিবেকের?
কৃত্রিম মেধা (এ আই)-র বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সারা বিশ্বেই আলোচনা চলছে। তবু যন্ত্র কি কোনও দিন শিল্পীর জায়গা নিতে পারে? এ নিয়ে মত প্রকাশ করলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। পোশাকশিল্পী, অন্দরসজ্জাশিল্পী বা কপিরাইটারদের জায়গায় কৃত্রিম মেধার ব্যবহার নিয়ে বিবেক লিখলেন টুইটারে।বিবেকের মতে, ক্রেতা বা গ্রাহক কোনও দিনই তাঁদের চাহিদার যথার্থ বিবরণ দিতে পারবেন না। তাই কৃত্রিম মেধার পক্ষে ডিজ়াইন বা কপিরাইটিংয়ের কাজ কখনও করে ওঠা সম্ভব নয়।
বিবেক লিখেছেন, “অনেক মানুষ বলছেন, কৃত্রিম মেধা পোশাকের সাজসজ্জার কাজ, অন্দরসজ্জার কাজ বা কপিরাইটিং ইত্যাদি করে দিতে পারে, শিল্পীদের জায়গা নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, সেটা সম্ভব নয়।”
বিবেকের কথার পাল্টায় নিজেকে কৃত্রিম মেধার ‘উদ্ভাবক’ বলে পরিচয় দিয়ে একজন রসিক চালে লেখেন, “যখন হবে, তখন দেখা যাবে।” এর পরই সেই ব্যক্তি লেখেন, “কৃষকরা এখন কৃত্রিম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। সেই সব যন্ত্র কি কৃষকদের জায়গা কেড়ে নিয়েছে? কী করে নিখুঁত এবং যথার্থ ভাবে কেউ জানবে যে, কৃত্রিম মেধা এই কাজগুলো করে দেবে? এত বছরের বিবর্তন এবং সভ্যতার পরেও মানুষ নিখুঁত হতে পারেনি। আপনি কী করে আশা করেন, যন্ত্র এত নিখুঁত হতে পারবে?”
বিবেক পাল্টা লেখেন, “এটা মজার ব্যাপার। কারণ, গ্রাহক কখনও ঠিক ঠিক বিবরণ দিতে পারবে না, আর বিবরণটা ক্রমাগত পাল্টে যাবে। কৃত্রিম মেধা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে।” বিবেকের সঙ্গে সহমত এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, “একদম! বিশেষ করে ভারতীয় ক্রেতারা।” আর এক জন লেখেন, “কেউ হয়তো ঠিকঠাক বিবরণ দেওয়ার মতো একটা কৃত্রিম মেধা তৈরি করে ফেলবেন।”
২০২২ সালে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর বিপুল সাফল্যের পর বিবেক তাঁর পরবর্তী ছবি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর কাজ করছেন। কোভিড মহামারির সময় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের অবদান এই ছবির বিষয়। ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসে ১১ টি ভাষায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছবিটির।