রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট করেন ছবির পরিচালক বিবেক। তাঁর আর্জি, ‘বিনামূল্যে এই ছবি দেখানো বন্ধ হোক দয়া করে। এ ভাবে টিকিট ছাড়া ছবি দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত রাজনৈতিক নেতাদের। আইনি পদ্ধতিতে টিকিট কেটে ছবি দেখাই প্রকৃত জাতীয়বাদ এবং দেশাত্মবোধ।’
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
গত ১২ মার্চ হরিয়ানা সরকার ঘোষণা করেছে, প্রেক্ষাগৃহে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে গেলে টিকিটের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত হবে না জিএসটি। গুজরাত, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ-সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবিটি করমুক্ত করা হয়েছে।
তারই মাঝে জানা গেল, রবিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানায় এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনা টিকিটেই এই ছবি দেখা যাবে, এমনই একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে চার দিকে। সেই পোস্টারে বিজেপি নেতা রণধীর সিংহ কপ্রিওয়াসের ছবিও দেখা গিয়েছে।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট করেন ছবির পরিচালক বিবেক। তাঁর আর্জি, ‘বিনামূল্যে এই ছবি দেখানো বন্ধ হোক দয়া করে। এ ভাবে টিকিট ছাড়া ছবি দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত রাজনৈতিক নেতাদের। আইনি পদ্ধতিতে টিকিট কেটে ছবি দেখাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদ এবং দেশাত্মবোধ।’
১৯৯০ সাল নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত করার ঘটনা নিয়ে ছবি বানিয়েছেন বিবেক। ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কে ফুঁসছে সারা দেশ। এক দিকে প্রশংসার ঢল, অন্য দিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’-এর তকমা পেয়েছে এই ছবি। প্রতি দিন নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে এই ছবিটি ঘিরে। তারই মধ্যে বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করে ফেলেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, ইন্টারনেটে ছবিটি দেখার টোপ দিয়ে পাতা হয়েছে প্রতারণার জাল। আর তাতেই খোয়া যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নয়ডা পুলিশের তরফে এ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ওই ছবি নিখরচায় ডাউনলোডের একটি ভুয়ো লিঙ্ক ঘুরছে হোয়্যাটসঅ্যাপে। তাতে ক্লিক করলেই অজান্তে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছেন মানুষ। বিনামূল্যে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে গিয়ে খালি হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগ বলছে, ইতিমধ্যেই এ ভাবে খোয়া গিয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।