‘ফুরসত’ ছবির একটি দৃশ্যে ঈশান খট্টর। ছবি: সংগৃহীত।
নেটমাধ্যমে ‘ফুরসত’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে। মুখ্য চরিত্রে ঈশান খট্টর এবং ওয়ামিকা গাবিব তো রয়েছেনই। কিন্তু এই ছবিকে নিয়ে চর্চা শুরুর কারণ একাধিক। বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ছবিটির সম্পূর্ণ শুটিং সারা হয়েছে মোবাইলের ক্যামেরায়। আরও নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে, অ্যাপলের আইফোনের ক্যামেরায়।
লকডাউনের সময় সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই ছবির নির্মাণকৌশল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন। বিষয়টিকে মাথায় রেখে অ্যাপল ইন্ডাস্ট্রি প্রথম সারির পরিচালকদের কাছে স্মার্টফোনে ছবি তৈরির প্রস্তাব রাখে। বিশালের ছবিটি সেই উদ্যোগেরই ফল।
‘ফুরসত’ ছবির একটি দৃশ্যে অভিনেত্রী ওয়ামিকা গাব্বি। ছবি: সংগৃহীত।
‘ফুরসত’-গল্প ভবিষ্যৎ দর্শনের কথা বলে। ‘দূরদর্শক’ যন্ত্রে নিশান্ত নামে এক যুবক ভবিষৎ দেখে তার বন্ধুকে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে কি না, তা নিয়েই গল্প এগিয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশালের স্বভাবসিদ্ধ সঙ্গীত পরিচালনা এবং শামক ডাবরের নৃত্য পরিচালনা। স্বয়ং অ্যাপলের কর্ণধার টিম কুক টুইটারে ছবিটির প্রশংসা করেছেন।
ঈশানকে এর আগে দর্শক ‘ফোন ভূত’ ছবিতে দেখেছেন। অন্য দিকে পঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ ওয়ামিকা ‘গ্রহণ’ ওয়েব সিরিজ়ের সৌজন্যে এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। বিশালের কথায়, ‘‘প্রথাগত সিনে-ক্যামেরার সঙ্গে প্রচুর মানুষ এবং লেন্স দরকার পড়ে, ফলে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়। স্মার্টফোনে সে সবের বালাই নেই। সমস্যা এড়িয়ে অনেক দ্রুততার সঙ্গে শুটিং করা যায়।’’
সাম্প্রতিক অতীতে স্মার্টফোন ব্যহার করে ছবি তৈরি করছেন অনেকেই। হলিউড পরিচালক স্টিভেন সোডারবার্গ আইফোন ব্যহার করে তৈরি করেছেন ‘আনসেন’ এবং ‘হাই ফ্লাইং বার্ড’ এর মতো পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। ভারতেও এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে যে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে, ‘ফুরসত’ তার অন্যতম উদাহরণ।