‘ডার্লিংস্’-এর এক দৃশ্যে বিজয় বর্মা ও আলিয়া ভট্ট। —ফাইল চিত্র
বিজয় বর্মা আর তমন্না ভাটিয়ার প্রেম এখন মায়ানগরীর চর্চায়। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘দহাড়’ সিরিজ়ের সাফল্যও বিজয়কে খুশির আমেজে রেখেছে। যদিও এ সব স্পর্শ করে না তাঁর বাবা-মাকে। ছেলে অভিনয়ে আসুক, কোনও দিনই চাননি তাঁরা। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর পেশা নিয়ে পারিবারিক অশান্তির কথা ভাগ করে নেন বিজয়।
বিজয়ের কথা থেকেই জানা যায়, তাঁর মা এক জন সাধারণ গৃহবধূ। সংসারের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ইন্ডাস্ট্রির চাকচিক্যের দুনিয়া সম্পর্কে তাঁর বিশেষ ধারণা নেই। ছেলের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরুতে চিন্তিত ছিলেন অভিভাবক। তবে বিজয়ের দাবি, “ওঁরা এখন জানেন, আমায় না খেয়ে মরতে হবে না। কিন্তু যত বার ভিডিয়ো কল করি, মা বলেন রোগা হয়ে যাচ্ছিস! খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিস?”
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে নিজের ঘর ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন অভিনেতা। জুতো-জামা থেকে শুরু করে নানা জিনিসে ছয়লাপ। সেখানে সোফার উপরের একটি তাকে নানা রকম ছবির সঙ্গে তাঁর এবং আলিয়া ভট্টের বিয়ের ছবিটি যত্ন করে রাখা। সেটি দেখেই নাকি চমকে গিয়েছিলেন বিজয়ের জননী।
“তুই বিয়ে করে নিয়েছিস?” মা চিৎকার করে উঠতে খুব একচোট হেসেছিলেন বিজয়। ঘর ঘুরিয়ে দেখানোর ভিডিয়োতে গল্পটি ভাগ করে নেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “দারুণ মজা হয়েছিল সে বার। ওটা আমার আর আলিয়ার অভিনীত ‘ডার্লিংস্’-এর দৃশ্য, মা তো বোঝেনি।” বিজয় জানান, পরে তাঁর বাবা অবশ্য ‘ডার্লিংস্’-এ তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন। পর পর দু’টি কাজেই বিজয়কে খলচরিত্রেই দেখা গিয়েছে। তিনিই নায়ক, তিনিই আবার মন্দের পরাকাষ্ঠা। চরিত্রগুলি সার্থক ভাবে ফুটিয়ে তুলে দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছেন বিজয়।
কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি প্রেম নিয়েও মজে আছেন অভিনেতা। ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এর সেটেই একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন বিজয় ও তমন্না। খুব শীঘ্রই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’। তার আগে জুটিকে প্রচারে দেখা যাচ্ছে একসঙ্গে।
বিজয়ের সঙ্গে যে খুব ভাল আছেন সে কথাও সরাসরি জানান তমন্না। বলেন, বিজয় তাঁর ‘হ্যাপি প্লেস’। তমন্নার স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের মনের কথা উজাড় করে দিয়েছেন বিজয়ও। তমন্নার স্বীকারোক্তির পরে অভিনেতা বলেন, ‘‘সব কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। আমি এটুকুই বলতে পারি যে, আমার জীবন এখন ভালবাসায় পরিপূর্ণ। আমি খুব ভাল আছি।’’ তমন্নার মতো গুছিয়ে প্রেমের ইস্তাহার না দিলেও বিজয়ের কথায় স্পষ্ট, প্রেমেই আছেন তিনিও।