সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্কট কাটেনি। তিনি আপাতত রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। তবে নতুন করে তাঁর পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ একই রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর আবার শারীরিক পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, সৌমিত্রর কিডনির সমস্যাও একই রকম রয়েছে। বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট একেবারেই কাটেনি। সর্বক্ষণ পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে তাঁর জন্য নিযুক্ত মেডিক্যাল টিম। অশীতিপর সৌমিত্র গত ২২ দিন ধরে মিন্টো পার্কের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সোমবার সৌমিত্রকে ‘এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন’ তথা ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। অণুচক্রিকা কম থাকায় রক্তও দিতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রবীণ অভিনেতার এক্স-রে রিপোর্টে নতুন ‘প্যাচ’ দেখা দিয়েছে। সেকেন্ডারি নিউমোনিয়া সংক্রমণ হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বয়স এবং কো-মর্বিডিটি তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং অণুচক্রিকার পরিমাণ কম থাকায় আগেই করা হয়েছে ব্লাড ট্রান্সফিউশন। শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের পরিমাণ ওঠানামা করছে এখনও।
প্রসঙ্গত, করোনা-আক্রান্ত অবস্থায় সৌমিত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা আবার সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণে তারতম্য হওয়ায় মাঝে মাঝেই তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। এ বার তাঁকে দিতে হল ভেন্টিলেশনে। সৌমিত্রের শারীরিক জটিলতা বাড়িয়েছে মস্তিষ্কে সংক্রমণ অভিঘাত (কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি) এবং স্নায়বিক অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে তাঁর চেতনার মাত্রা ক্রমশ নামছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে নতুন করে স্নায়বিক সমস্যার অবনতি হয়নি। চিকিৎসকদের বক্তব্য, আচ্ছন্ন চেতনায় মস্তিষ্কে সংক্রমণের অভিঘাতে রোগীর বয়স ও আনুষঙ্গিক রোগগুলি বিপজ্জনক হতে পারে। হাসপাতালের দাবি, স্নায়ুরোগ বিশারদ-সহ সব চিকিৎসক সৌমিত্রবাবুর চেতনা ফেরাতে ইনটিউবেশনের তথা ভেন্টিলেশনের উপরেই নির্ভর করছেন।
আরও পড়ুন: এ রাজ্যে করোনার বলি ৬৪ জন ডাক্তার! সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে, চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে না, অভিনেত্রীকে কোপ যুবকের, অডি-তে চেপে ঘটনাস্থল থেকে ফেরার