(বাঁ দিকে) গুলজ়ার ও জাভেদ আখতার। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে চিত্রনাট্যকারদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। শুধু নতুনরাই নন, গুলজ়ার ও জাভেদ আখতারের মতো প্রথম সারির বর্ষীয়ান শিল্পীরাও ভুক্তভোগী। এমনই জানালেন, ‘মাসান’, ‘সেক্রেড গেমস’-এর চিত্রনাট্যকার বরুণ গ্রোভার। এছাড়া ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ ছবির গান লিখেছেন তিনি। সম্প্রতি ‘অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক’-এর মাধ্যমে পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। জানালেন, চলচ্চিত্র জগতে রীতিমতো শোষণ করা হয় চিত্রনাট্যকারদের।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্যাতনামী ছবি নির্মাতার সঙ্গে কাজ করলেন তাঁর বন্ধু। প্রায় তিন দশক ধরে ছবির জগতে কাজ করছেন সেই নির্মাতা এবং বৃহৎ সংখ্যক অনুরাগীদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। বরুণের কথায়, “একটা গোটা প্রজন্মের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত। কিন্তু আমার বন্ধুকে প্রথমে সংলাপ লিখতে বলেছিলেন। তার পরে সংলাপ-সহ পুরো চিত্রনাট্য লিখতে বলা হয় তাঁকে।”
বরুণের দাবি, তার পর তাঁর সেই বন্ধুর পারিশ্রমিক স্থির হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা। একপ্রস্ত আলোচনার পরে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় তিন লাখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার অর্ধেক পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাঁকে। এই প্রসঙ্গে বরুণ বললেন, “আমার বন্ধুকে ওঁরা বলেছেন, ছবি মুক্তি পেলে বাকি অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু জানি না, শেষ পর্যন্ত কী হবে!”
তিনি আরও বলেন, “চিত্রনাট্যকারের সমিতির আইন অনুযায়ী শুধু সংলাপ লিখতে হলে ১২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন চিত্রনাট্যকার। আর সংলাপ ও পুরো চিত্রনাট্য লিখতে হলে তাঁর প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ২০ লাখেরও বেশি।” সেই নিয়ম না মেনে টাকার অঙ্ক যথেচ্ছ কমিয়ে ফেলা হয়। আকছার এই ঘটনা ঘটে ইন্ডাস্ট্রিতে। উল্লেখ্য, তাঁর বন্ধু বা কোন পরিচালক বা নির্মাতার কথা বলেছেন তা প্রকাশ্যে আনেননি।