প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র এই সময়টায় কী পাগলামোটাই না হয়!
গয়নার কোম্পানির অজস্র বিজ্ঞাপন। নানান কার্ডের বাহার। উপহার কেনার হুজুগ। এমনকী ফুল, কেক-কনফেকশনারির দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভিড়।
এত কিছু করেও কি কিছু মানুষের প্রেম-ভাঙা মন জোড়া লাগছে?
কোন উপায়ে আপনার মনের মানুষকে জানাবেন মনের অভিলাষ? উপহারের মাধ্যমে, সুন্দর করে লেখা চিঠি দিয়ে, সুরের মূর্ছনায়, নাকি একটা বেশ বড় সারপ্রাইজ পার্টি দিয়ে?
দিনটাকে উদযাপন করুন নিজেদের মতো করে। খুব বড় কিছু প্ল্যান করার প্রয়োজনই নেই।
তাই কয়েকটা খুব কাজের পরামর্শ রইল পাঠকদের জন্য। দেখবেন, এ বারের ভ্যালেন্টাইন্স ডে’টা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না।
আর কী-ই বা দিতে পারি...
একটা হিরে বসানো লকেট বা একজোড়া হিরের দুল হতেই পারে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উপহার। রেস্ততে না কুলোলে সোনা বা রুপো দিয়ে ছোট্ট একজোড়া দুল বা একটা আংটি। রুপোর বাহারি গয়নাতেও দোকানে দোকানে এই সময় প্রচুর ছাড়। অন্য রকম কিছু চাইলে কিনে নিন ব্রোচ, হাল্কা চুড়ি, এমনকী চার্ম ব্রেসলেটও। তবে হ্যাঁ, যাঁকে দিচ্ছেন, তিনিই আপনার মনের মানুষ তো? আশা করি চোখকান খোলা রেখেই উপহারটা দেবেন।
আপনার পছন্দের পুরুষটিকে দিতে পারেন নামের আদ্যক্ষর বসানো সোনার লকেট। আর তাতে হিরে বসানো থাকলে তো কথাই নেই! যদি তিনি চেন পরেন, তা হলে তো এই উপহার যাকে বলে সোনায় সোহাগা। নইলে দিতে পারেন শার্ট, পেন কিংবা বই। প্যাকেজিংটা যেন খুব সুন্দর হয়।
দিনটা যখন প্রেমের, তখন কার্ড ছাড়া মনের কথা বলা! নাহ্, একটা কার্ড তো দিতেই হবে না-বলা সেই কথাগুলো বলতে।
আর বিবাহিতরা? তারাই বা বাদ যান কেন। নিজেদের সেলফি তুলে হৃদয়ের আকারের সুন্দর ফোটোফ্রেমে বাঁধিয়ে উপহার দিন আপনার সঙ্গীকে। এর চেয়ে ভাল প্রেমের উপহার আর কী-ই বা হতে পারে!
তোমায় দিলাম আজ...
প্রিয় বন্ধু
প্রিয় বান্ধবী
• প্ল্যাটিনাম লুক অ্যালাইক সিলভার রোডিয়াম বা
টাইটেনিয়াম রিং। দেদার বিকোচ্ছে শপিং সাইটে
• এমপিথ্রি প্লেয়ার, আইপডে আপনার পছন্দের প্রেমের গান
• প্রেমের গ্রাফিটি দেওয়া কুশন
• হাতঘড়ি। বা সানগ্লাস
• ডিজাইনার ফ্রেমে বাঁধানো নিজেদের সুন্দর মুহূর্তের ছবির কোলাজ
• আই টিউনস গিফ্ট ভাউচার
• আপনার ছবি দেওয়া কফি মাগ
• ফোটো ব্রেসলেট
• দামি সুগন্ধির সেট
• স্পা গিফ্ট কার্ড। যে কোনও নামী অনলাইন সাইটে পেয়ে যাবেন
• কস্টিউম গয়না। অথবা ছোট্ট সোনা বা হিরের পেনডেন্ট