Vaishali-Pallavi

বৈশালীর মৃত্যু ফিরিয়ে দিল পল্লবীকে হারানোর স্মৃতি, একই রকম স্বপ্ন নিয়ে চরম পথ বেছেছিল কলকাতার মেয়ে

আবারও টেলি অভিনেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে। হিন্দি টেলিভিশনে পরিচিত মুখ বৈশালী। তাঁর আত্মহত্যা মনে করিয়ে দিল টলিউডের উঠতি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্যমৃত্যু!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৩৯
Share:

বৈশালীর মৃত্যু মনে করাচ্ছে পল্লবীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনা?

মনে পড়ে গঙ্গাপারের পল্লবী দে’র কথা! আরবসাগরের পারের মায়ানগরীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার তেমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন ইনদওরের বৈশালী ঠক্করও। হাওড়ার পল্লবী চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। তার যে কী চরম পরিণতি হয়েছিল সেই ঘটনার কথা এখনও দগদগে পরিবারের মনে। সেই পল্লবীর ঘটনারই এ যেন পুনরাবৃত্তি।

Advertisement

ফের টেলি অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যু। হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ বৈশালী। রবিবার নায়িকার ইনদওরের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। বৈশালীর এই আচমকা মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে এমন আরও ঘটনা। ঠিক ছ’মাসে আগে তো এমনই এক ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল কলকাতা। ছোট পর্দার পরিচিত মুখ পল্লবী দে’র আত্মহত্যার ঘটনার জল গড়িয়েছিল বহু দূর। রবিবার বৈশালীর মৃত্যু আবারও সেই ঘটনাই মনে করিয়ে দিল।

এক দিকে যখন এক মা-বাবা মেয়ে চলে যাওয়ার শোকে পাথর। অন্য দিকে, মন ভাল নেই আরও এক মা-বাবার। ধীরে ধীরে নিজেদের পুরনো জীবনে ফিরছেন পল্লবীর বাবা নীলু দে। তার মধ্যেই এই খবর। কোল খালি হওয়ার যন্ত্রণা যেন আবার মোচড় দিয়ে উঠল। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলেই নীলুবাবু বললেন, “আর কী বলব আমি! আমাদের মতো তাঁদেরও ২৪ ঘণ্টা বুকে যন্ত্রণা নিয়ে চলতে হবে। বৈশালীর মা-বাবাকে শক্ত থাকতে বলব। আর ঘটনার নেপথ্যে কারণ কী সেটা জানার অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত। সত্যি সামনে আসুক এটাই চাইব।” প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কহলাতা হে’ ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলি দুনিয়ায় পা রাখেন বৈশালী। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল ‘সঞ্জনা’। ২০১৬ পর্যন্ত সেখানে অভিনয় করেন তিনি। এর পর একে একে ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’, ‘বিষ ইয়া অমৃত’, ‘সসুরাল সিমর কা’-র মতো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বৈশালীকে শেষ বার দেখা যায় ‘রক্ষাবন্ধন’ নামক টিভি শো-তে।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন বৈশালী। আদৌ তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না, বা করে থাকলে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে নায়িকা কী লিখেছেন, তা-ও প্রকাশ্যে আসেনি।

মে মাসে পল্লবীর আচমকা মৃত্যুও স্তব্ধ করে দিয়েছিল সকলকে। গড়ফার একটি আবাসনের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় টলি অভিনেত্রীর। ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেত্রীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর। পল্লবীর পরিবারের দাবি ছিল তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না। মুম্বইয়ে আবারও বৈশালীর মৃত্যু নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে পল্লবীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement