স্ত্রী আন্তোনিয়ার সঙ্গে জ়াকির হুসেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত উস্তাদ জ়াকির হুসেন। রবিবার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি তবলাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ। ১৯৫১ সালে মুম্বইয়ে জন্ম জ়াকিরের। তাঁর পিতা উস্তাদ আল্লা রাখাও ছিলেন প্রখ্যাত তবলাবাদক।
ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন জ়াকির। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তবলার সফর শুরু তাঁর। সাত বছর বয়স থেকে মঞ্চে একক অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। ২০২৪ সালে জ়াকিরের হাত ধরেই ভারতে আসে গ্র্যামি পুরস্কার। ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজ়িক অ্যালবাম’ হিসাবে পুরস্কৃত হয় ভারতীয় ব্যান্ড ‘শক্তি’র অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’। এ হেন কর্মজীবন যাঁর, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই ছিল সব সময়। মুসলিম পরিবারের ছেলে জ়াকির বিয়ে করেছিলেন ভিন্ধর্মে। পরিবারের মত ছাড়াই কত্থক শিল্পী আন্তোনিয়া মিনেকোলাকে বিয়ে করেন তিনি।
আলী আকবর খানের সৌজন্যে প্রথম দেখা আন্তোনিয়া ও জ়াকিরের। প্রথম দেখাতেই তবলাবাদককে বড্ড আপন মনে হয়েছিল আন্তোনিয়ার। সেই সময় যুবক জ়াকিরের মিষ্টি স্বভাব মন কাড়ে তাঁর। সেখান থেকেই শুরু প্রেম, প্রায় সাত বছরের সম্পর্ক। মুসলিম পরিবারের ছেলে। বাড়িতে তিনিই প্রথম, যাঁর বিয়ে হয় ভিন্ধর্মে। মায়ের আপত্তি ছিল শুরুতে। তাই মায়ের অনুমতি ছাড়াই আন্তোনিয়াকে বিয়ে করেন জ়াকির। যদিও বাবা সবটাই জানতেন।
এক সাক্ষাৎকারে জ়াকির বলেছিলেন, ‘‘ আসলে, বাড়িতে প্রথম কেউ এ ভাবে বিয়ে করেছে। তাই আমার মায়ের মেনে নেওয়াটা কঠিন ছিল। প্রথম আমরা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই বিয়ে করি। তার পর আইনি মতে। সব সময় অবশ্য বাবা পাশে ছিলেন। মাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল বাবার কাঁধে। মাকে গিয়ে বাবা বলেন, ‘বিয়েটা ওরা সেরে ফেলেছে'।’’ যদিও সময়ের সঙ্গে শিল্পীর স্ত্রী ও তাঁর মায়ের সম্পর্ক সহজ হয়।