আমজাদ, আমন, আয়ানের সরোদে দুই প্রজন্মের বিজয়া নিবেদন।
করোনা এবং তজ্জনিত লকডাউনে সঙ্গীতজগতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উস্তাদ আমজাদ আলি খানের চিন্তা থাকলেও ‘কলকাতা’ শব্দে উচ্ছ্বসিত বঙ্গাশ পরিবার। যেন তাঁদের স্পন্দনের সিংহভাগ কলকাতাতেই রাখা। কলকাতায় সরোদ বাজিয়েই তাঁদের মঞ্চে হাতেখড়ি। ১২ বছর বয়সে কলকাতায় প্রথম বাজিয়েছিলেন উস্তাদজি। ১৩ বছর বয়সে বাজিয়েছিলেন আমন আলি বঙ্গাশ। ফলে দশমীতে আনন্দবাজার ডিজিটালের দর্শক-শ্রোতাদের জন্য রাগ দুর্গা, রাগ সরস্বতী এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাতে পেরে সরোদের দুই প্রজন্ম (পিতা উস্তাদ আমজাদ আলি খান এবং দুই পুত্র আমন আলি বঙ্গাশ আর আয়ান আলি বঙ্গাশ) যারপরনাই আনন্দিত।
আমন-আয়ানের মা শুভলক্ষ্মী ভরতনাট্যমের শিল্পী। তিনি অসমের মানুষ। আয়ান বলছিলেন, “আসাম আর বাংলা তো কাছাকাছি ভাষা। তাই বাংলা সকলেই বোঝেন এমনকি বলতেও পারি আমরা।” শুধু ভাষাই নয়, আয়ান জানাচ্ছেন, তাঁদের বাড়িতে প্রায়ই বাঙালি রান্না হয়। শুভলক্ষ্মীর হাতের কষা মাংসের নাকি কোনও কোনও জবাব নেই। কলামন্দির বা রবীন্দ্র সদনে বাজানো হচ্ছে না বহু দিন। এই নিয়ে বেশ মনখারাপ বাবা এবং ছেলেদের। কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় বাংলার মানুষের কথা ভেবেই তাই তাঁরা দশমীতে ডিজিটাল উপহারের কথা ভেবেছেন। দশমীর সেই জলসাঘর বসেছিল শুধুমাত্র আনন্দবাজার ডিজিটালের মঞ্চে।