নিজের ব্যক্তিগত লড়াই নিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় মুখ খুললেন পরিচালক শেখর কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা পরিচালক তিনি। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ব্যান্ডিট কুইন’-এর মতো ছবি তাঁরই সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘এলিজ়াবেথ’, ‘হোয়াট্স লভ গট টু ডু উইথ ইট?’-এর মতো ছবি। আপাতত ‘হ্যারি পটার’-এর ভারতীয় সংস্করণ নিয়ে কাজে ব্যস্ত বর্ষীয়ান পরিচালক শেখর কপূর। এর মধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের লড়াই নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক। ছোটবেলা থেকেই ডিজ়লেক্সিয়ার শিকার তিনি, পাশাপাশি ভোগেন অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডারেও। জানান পরিচালক নিজে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি টুইট করে নিজের জীবনের একাধিক লড়াইয়ের কথা জানান শেখর কপূর। শেখর লেখেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে ডিজ়লেক্সিক, পাশাপাশি আমার অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজ়অর্ডারও আছে। আর যে কী কী সমস্যা আছে জানি না।’’ শেখর আরও লেখেন, ‘‘ভাগ্য ভাল, আমি যখন বড় হচ্ছিলাম তখন আমার মতো শিশুদের জন্য কোনও বিশেষ স্কুল ছিল না। ওরা আমার মধ্যের সবটুকু বিপ্লবকে পিটিয়ে বার করে দিত। আমি নিশ্চিত ভাবে কোনও ছবি বানাতে পারতাম না। কোনও সৃজনশীল কাজই করতে পারতাম না।’’ এই প্রথম নিজের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের বিষয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় মুখ খুললেন শেখর কপূর। বিশ্ববন্দিত ভারতীয় পরিচালক যে নিঃশব্দে এমন অসুখের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন, তা জানতে পেরে অবাক নেটাগরিকরা। তাঁদের মধ্যে এক জন মন্তব্য করেছেন, ‘‘স্কুল তো বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে না, আদপে এক জন শিশুর প্রতিভাই তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করে।’’
সমাজমাধ্যমের পাতায় এই খবর ভাগ করে নেওয়ার পরে শেখরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। তবে, অনেকেই শেখরের ‘বিশেষ স্কুল’ সংক্রান্ত মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। তাঁদের দাবি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল প্রায় আশীর্বাদের মতো। শুধু শিশুরা নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের মা-বাবার জন্যও এই লড়াই অনেক সহজ হয়ে যায় বলে দাবি নেটাগরিকদের একাংশের।