নিন্দকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেট দুনিয়ায় উরফির অনুরাগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। —ফাইল চিত্র
কখনও অন্তর্বাসে, কখনও কিছু না পরে রাস্তায় বেরোন উরফি জাভেদ। শুধু রাস্তায় বেরোন তা-ই নয়, ভরা অনুষ্ঠানেও চলে যান উন্মুক্ত শরীরে। যে যাই বলুক, নিন্দার বান বয়ে যাক, কিছুরই পরোয়া নেই উরফির। শুধুই কি ফ্যাশন নিয়ে নিরীক্ষার উন্মাদনায় ভেসে চলেছেন মডেল-তারকা?
রবিবার উরফি প্রকাশ্যে আনলেন নিজের চালিকাশক্তি, ভালোবাসার কথা। ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। একগুচ্ছ সাদা গোলাপ কাচের ফুলদানিতে। তার সামনে চিরকুট মেলে ধরেছেন উরফি। তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা, ‘‘প্রিয় উরফি, আমি যা করি সব তোমারই জন্য। যে ভালবাসা রয়েছে আমাদের মধ্যে, তা বিরল। সারা জীবন তোমার সঙ্গে এ ভাবেই থাকার প্রতিশ্রুতি দিলাম। তোমাকে ছাড়া একটা দিনও ভাবতে পারি না। তোমায় ভালবাসি।’’
নীল নেলপালিশ পরা হাতে উরফির ধরে থাকা সেই প্রেমপত্র নিমেষে ভাইরাল। কে উরফিকে লিখেছেন সেটি? দেখা যায়, আর কেউ নয়, উরফি নিজেই। চিঠির নীচে জ্বলজ্বল করছে উরফিরই নাম। অর্থাৎ, উরফি নিজেই নিজেকে প্রেমপত্র লিখেছেন। নিজেকে ভলোবাসার মন্ত্র দিচ্ছেন তিনি এই ছবিতে। সেই পোস্ট দেখে ভালবাসা জানালেন অনুরাগীরা। সকলেই বললেন, ‘‘এই জন্যই উরফি অনুপ্রেরণা।’’
একগুচ্ছ সাদা গোলাপ কাচের ফুলদানিতে, তার সামনে চিরকুট মেলে ধরেছেন উরফি।
উরফি মানেই ছকভাঙা কাজ। এ বার পোশাক কিংবা বিস্ফোরক মন্তব্যে নয়, নতুন ভঙ্গিতে সেই ছক ভেঙে দেখালেন প্রাক্তন ‘বিগ বস্’ প্রতিযোগী। কিছু দিন আগেই এক ফ্যাশন উৎসবে তাঁর পাঁজরের সাজ ভাইরাল হয়েছিল। একটি কার্গো প্যান্টের উপর কিছু না পরেই সবার মাঝখানে এসেছিলেন ‘ফ্যাশনিস্তা’। স্তনের উপরে চাপিয়ে নিয়েছিলেন বেগনি পাঁজরের খাঁচা। যাতে লজ্জা নিবারণ তো হয়ইনি, সবাই অবাক হয়ে দেখছিলেন তাঁর ‘দুঃসাহস’। তবে চমকে দেওয়াই তাঁর কাজ। প্রতি দিনই উরফির পোস্ট করা ছবিতে প্রকাশ পায় উদ্ভাবনী ক্ষমতা। কেউ কেউ তাঁকে ‘শিল্পী’ও বলেন। নিন্দকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেটদুনিয়ায় উরফির অনুরাগীর সংখ্যা তাই ক্রমেই বাড়ছে।