হাওয়ায় উড়ছে তাঁর আঁচল। শরীর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বার বার, কোনও মতে ধরে আবার যথাস্থানে ফিরিয়ে আনছেন উরফি। সংগৃহীত
কমলা আর গোলাপি রঙের জল ধোওয়া ফিনফিনে শাড়ি। যেন ত্বকেরই মতো। সঙ্গে একফালি পিচরঙা ব্লাউজ, যেটিকে অন্তর্বাস বললেই হয়। হাওয়ার দমকে তা-ই সামলাতে হিমসিম উরফি জাভেদ। সোজা চলে এলেন বিমানবন্দরে। উৎসবের মেজাজে ধরা দিলেন নতুন অবতারে।
কী উপলক্ষ, তা উরফিই জানেন! নীল গাড়ি থেকে নামলেন যখন হাতভর্তি পিৎজ়ার বাক্স। আশপাশে যত আলোকচিত্রী ছিলেন সবার মধ্যে বিলিয়ে দিলেন সেগুলি। তার পরই চলে এলেন বিমানবন্দরের সামনের চত্বরে। হাওয়ায় উড়ছে তাঁর আঁচল। শরীর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বার বার, কোনও মতে ধরে আবার যথাস্থানে ফিরিয়ে আনছেন উরফি। সেই শাড়ি-যুদ্ধের ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। আলোকচিত্রীদের অবশ্য বলতে শোনা যায়, “আরামসে... আরামসে উরফিজি!” তবে কেউ কেউ সেই ভিডিয়ো দেখে মন্তব্য করলেন, “সেফটিপিন বলে একটা জিনিস হয়, উরফিকে কেউ বলেননি বোধহয়।”
সাইকেলের চেন গায়ে পরে শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে দিন দুই আগে। তার পরই ত্বকের রঙের শাড়িতে উড়ে বেড়ালেন মডেল-অভিনেত্রী। বিমানবন্দরে এলেন অনেক দিন পরে। সে নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কি চলছেই। যাতে আরও একটু ইন্ধন যুগিয়ে উরফি লিখলেন, “ফ্লাইট মিস করলেও মেক আপ যেন ঠিকঠাক থাকে!”
ব্যাপার কী? সত্যিই কি উড়ান ধরতে এসেছিলেন শনিবার? এমন তো হয়নি আগে! জল্পনায় অনুরাগীরা। রাত বাড়তে আরও বাড়ল সংশয়। ভারতীয় সময় রাত ২টো নাগাদ একটি পোস্ট দিলেন উরফি। সেখানে দেখা যায় হাসিমুখে এক বিমানচালককে। ক্যামেরায় তাকিয়ে আছেন তিনি। নীচে অবস্থান লেখা, দুবাই, সৌদি আরব।
উরফি কি এখন সেখানেই? আবার অপেক্ষা তাঁর নতুন ফন্দির।