আর পাঁচ জন সদ্য কলেজ পাশ করা তরুণীর মতোই জীবন যাপন করতেন ঢিনচ্যাক পূজা। বাড়ি পূর্ব দিল্লিতে।
পূজা তখনও ‘ঢিনচ্যাক’ হয়ে ওঠেননি। তখন ছিলেন শুধুই পূজা জৈন।
ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল র্যাপার হবেন।
ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে ওঠার জন্য চাই একটা দমদার নাম। মাথায় আসে দু’টি নাম। একটি হল ‘রাপচিক পূজা’ এবং অন্যটি ‘ঢিনচ্যাক পূজা’। তবে শেষ পর্যন্ত পূজা জৈন নামটা বদলে করলেন ‘ঢিনচ্যাক পূজা’।
এর পর র্যাপারদের মতো টুপি ও পোশাক পরে গান গাওয়া শুরু করলেন। ২০১৬তেই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেই মুক্তি রায় তাঁর প্রথম গান।
রাতারাতি ইন্টারনেটে রাজত্ব করতে শুরু করলেন তিনি। সামনের ২৩ ডিসেম্বরে ২৪-এ পা দেবেন পূজা। এত অল্প বয়সে ইন্টারনেটে কাঁপানো মোটেই কিছু কম কথা নয়।
শুধু নামই নয় গানের গুঁতোয় সবাইকে ঘায়েল করে তাঁর রোজগারও কিন্তু বেশ ভালই। মাস গেলে তাঁর আয় ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
শোনা যায়, প্রথমে গান গেয়ে ভিডিও করার আইডিয়াটা তাঁর মাথা থেকে আসেনি। পূজার বন্ধুরাই নাকি তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।
তবে অনেকেই ভাবেন যে, পূজার গানের ভিডিওগুলিতে তাঁর বন্ধুরাও থাকেন। তা কিন্তু নয়। পূজাই ব্যাপারটা নিয়ে খোলসা করেছেন। তিনি জানান, তাঁরা সবাই অভিনেতা।
পূজার মতে, এই মুহূর্তে তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
এই মুহূর্তে তিনি ‘রশকে কমর’ নামে একটি গানে সুর দিতে ব্যস্ত।
চারদিকে একটাই প্রশ্ন, পূজা যে গানগুলি গান সে গুলি কার লেখা? এই গানগুলির কথা নাকি পূজাই লেখেন। তবে তাঁর ম্যানেজার এবং উপদেষ্টা রয়েছেন। তাঁরাও তাঁকে উপদেশ দেন।
ভিডিওতে যে লাক্সারি গাড়িতে তাঁকে দেখা যায়, সেগুলি নাকি তাঁর এক আত্মীয়ের।
পূজার অনুপ্রেরণা হলেন মাইকেল জ্যাকসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পূজা তাঁর কোনও গান গাননি।
পূজা মাকি কোনও কমেন্ট পড়েন না। কোনও বিরূপ মন্তব্য থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন।
‘সেলফি ম্যায়নে লে লি আজ’ ইউটিউবে আপলোড করার পর, সেখান থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা রোজগার করেছিলেন ঢিনচ্যাক পূজা।