শঙ্খ ও মোহরের জীবনে নতুন টুইস্ট।
বিয়েতে রাজি শঙ্খ। মোহর নয়, জ্যেঠুমণির পছন্দের পাত্রীকেই সামাজিক ভাবে বিয়ে করবে সে। মোহর হবে তার বিয়ের বরযাত্রী! ফোনে সে বলেছে মোহরকে, ‘আমার বিয়ের বরযাত্রীতে আসছ তো? তুমি না এলে কিন্তু গাড়ি ছাড়ব না। ওয়েট করব!’
চিত্রনাট্যে মোচড় পড়ার আগেই বড় মোচড় দিয়েছেন ‘শঙ্খ’ প্রতীক সেন স্বয়ং। ভাসা ভাসা চোখের এই অভিনেতার আচমকা অসুস্থতা, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া বিভ্রান্ত করে দিয়েছে অসংখ্য অনুরাগীকে। যাঁদের একটাই প্রার্থনা ছিল, ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন শঙ্খ স্যার।’
সবার শুভেচ্ছায় প্রতীক আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ।
এই রেশ কাটার আগেই আস্তিনে লুকিয়ে রাখা ট্রাম্প কার্ড দেখাতে চলেছে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য। যার আগাম আঁচ পাওয়া গিয়েছে কয়েক দিন ধরে সম্প্রচারিত হওয়া গল্প দেখেই।
একটা সময় মোহর-শঙ্খের গোপন বিবাহ পর্ব নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সোম থেকে রবি রাত আটটার স্লট। সেই পর্ব মিটতে না মিটতেই বিরহের সুর শোনা গিয়েছে আবার। শঙ্খের জ্যেঠুমণি ভাইপোকে ভিক্ষে চেয়েছেন মোহরের কাছে। তাঁকে না বলতে পারেনি মোহর। ফলে, ‘মিলন হবে কত দিনে’ প্রশ্ন ফের মাথা চাড়া দিয়েছে নতুন করে।
অধ্যাপক-ছাত্রীর ভালবাসা সম্ভবত এখনও কোনও ধারাবাহিকে জায়গা করে নেয়নি। যদিও এই অনুভূতি অনেকের জীবনেই এসেছে। বিদায়ও নিয়েছে বলতে না পারার লজ্জায়। মোহর-শঙ্খের প্রেম সেই গোপন জায়গা ছুঁয়েছে। ফলে, ধারাবাহিক দেখতে দেখতে বহু দর্শক চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে আবেদন রেখেছিলেন, অন্যান্য ধারাবাহিকের মতো একেও যেন ঘেঁটে দেওয়া না হয়। পর্দায় যেন সোচ্চার হয় এই প্রেম।
দর্শকদের সেই আর্তিকে মান্যতা দিতেই কি এই টুইস্ট? মোহর কি পারবে শঙ্খের বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে যেতে? যদিও চ্যানেলের প্রোমোয় আকুল হয়ে মোহর জানিয়েছে, ‘আমি পারব না! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’
তবে দর্শক কিন্তু ধরে নিয়েছে, কোন দিকে বাঁক নিচ্ছে গল্প। চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে মিলেছে লিখছেন এক অনুরাগী, ‘বরযাত্রী হিসাবে গিয়ে বউ হয়ে ঘরে ঢুকবে। আর নারায়ণ তাঁর লক্ষ্মীকে গৃহলক্ষ্মী হিসাবে আপন করে নেওয়ার মুহুর্তের সাক্ষী থাকব আমরা। ধন্যবাদ লীনাদি ও শৈবালদা এই প্রোমো দেখানোর জন্য।’