টুইঙ্কল খন্না। ছবি: ফেসবুক।
যখনই সমাজে অন্যায় মাথাচাড়া দিয়েছে লেখকেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁদের লেখনী প্রতিবাদ হয়ে ঝরেছে। আরজি কর-কাণ্ড-সহ দেশে ঘটে যাওয়া একের পর ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে সে ভাবেই কলম ধরলেন টুইঙ্কল খন্না। অতি সম্প্রতি ছদ্মনাম ‘মিসেস ফানি বোনস’ রূপে তিনি লিখেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্ধকার রাস্তায় পুরুষের থেকে ভূতের মুখোমুখি হওয়া নারীর পক্ষে অনেক নিরাপদ।” তাঁর মতে, কখনও কলকাতা, কখনও বদলাপুর, কখনও অসম বা কখনও অন্যত্র নারীর সঙ্গে নারকীয় ঘটনা ঘটেই চলেছে। দেখেশুনে তাঁর মনে হয়েছে, মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। সেই তুলনায় অশরীরীরা অনেক ভাল। লেখিকা-অভিনেত্রীর এই উপলব্ধি আরও জোরালো হয়েছে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘স্ত্রী ২’ দেখে।
টুইঙ্কল বরাবর স্পষ্টভাষী। তিনি যত না মুখে বলেন তার থেকেও বেশি বলে তাঁর কলম। আরজি কর-কাণ্ড তাঁকেও যে ছুঁয়ে গিয়েছে, সে কথা তাঁর লিখনে স্পষ্ট। সেখানে তাঁর দাবি, “যুগ বদলাল, সময় এগোল। নারীর অবস্থান পাল্টাল না। আমার ৫০ বছরের জীবনে দেখছি, এখনও ছোট থেকে একজন মেয়েকে শেখানো হয়, কোথাও একা যাবে না। না পার্কে, না স্কুলে, এমনকি কাজের জায়গাতেও না! একান্তই কোনও পুরুষের সঙ্গে বেরোতে হলে তিনি যেন তার পরিবারের কেউ হন। যেমন, নিজের কাকা, মামা, নিজের বা তুতো ভাই। বিশেষ করে রাতে মেয়েরা যেন কখনওই একা কোথাও না যায়। তা হলে সে আর অক্ষত ফিরবে না।” এই জায়গা থেকেই তাঁর কাছে অমর কৌশিকের ‘স্ত্রী ২’ ব্যতিক্রমী ছবি। কারণ, এই ছবি মেয়েদের সাহসী হওয়ার কথা বলেছে।
একই সঙ্গে তিনি মেয়েদের ‘নাইট ডিউটি’ নিয়েও সরব। তাঁর দাবি, “একুশ শতকেও মেয়েদের ঘরবন্দি না রেখে কর্মক্ষেত্র থেকে সর্বত্র তাঁদের নিরাপত্তার দিকটি আইনের সাহায্যে আরও জোরালো করার সময় এসেছে।”