যে কোনও ফিল্ম শুরুর আগে প্রতিটি সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক। সে সময় শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য উপস্থিত সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি মনে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের ভাবনাও আনতে হবে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এ হেন নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ বার মুখ খুললেন টুইঙ্কল খন্না।
নিজের ব্লগে টুইঙ্কল লিখেছেন, ‘আমি পড়লাম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় উপস্থিত দর্শকদের উঠে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে, এমনকী সে সময় মনে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের ভাবনা আনার কথাও বলা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত শুনলে যাঁদের চোখ থেকে দল পড়ে আমিও তাঁদের মধ্যে একজন। ওয়াঘা সীমান্তে একদিকে ভারতীয় সেনারা প্যারেডের সময় জোরে জোরে ‘জয় হিন্দ’ বা ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলেন। অন্যদিকে পাক সেনারাও তাঁদের স্লোগান বলেন। একবার আমি ছিলাম সেখানে। সে দিন প্রায় ২০০ লোক ছিল। আমিও তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেছিলাম। সুতরাং জাতীয়তাবোধ পরিমাপের তো কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। আমরা ভাবি হয়তো সশব্দে প্রকাশ করাটাই জাতীয়তাবাদ। …কিন্তু একটা বিষয় এখনও আমার মাথায় ঢুকছে না। আমি যখন বেফিকরের মতো সিনেমা দেখার জন্য টিকিট বুক করব তখন কেন বলুন তো আমাকে দেশপ্রেমিক হতেই হবে? কারণ ওই সিনেমায় রণবীর সিংহকে টাইট লাল অন্তর্বাসে দেখতে পাব বলেই তো গিয়েছি। তখন কী ভাবে আমার মধ্যে ওই সব ভাব জেগে উঠবে? সিনেমা দেখার সময় কেন দেশপ্রেমের ভাবনা আসবে আমার? কমিটেড পেট্রিয়টিজমের মানেটাই বা কী?’
আরও পড়ুন, না জানিয়ে ধর্ষণ বা চুমুর দৃশ্য, মারিয়া থেকে রেখা সেই এক বিতর্ক
টুইঙ্কলের এই মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে বিনোদন মহলে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। গত ৪৮ ঘণ্টায় সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় উঠে না দাঁড়ানোর কারণে এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথাও কোথাও মারধরের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।