নায়িকা তুনিশা সিরিয়ালের সেটেই জীবন শেষ করে দিয়েছেন বছরের শেষে। তার পর থেকে বিভীষিকাময় দিন কাটছে শীজ়ান আর তাঁর পরিবারের। ছবি: সংগৃহীত
শীজ়ান খানের সঙ্গে যা হচ্ছে তা ঠিক নয়, ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তাঁর পরিবার। তুনিশা শর্মার মৃত্যুর পর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’ সিরিয়ালের নায়ক। নায়িকা তুনিশা সিরিয়ালের সেটেই জীবন শেষ করে দিয়েছেন বছরের শেষে। তার পর থেকে বিভীষিকাময় দিন কাটছে শীজ়ান আর তাঁর পরিবারের। তবে বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে চাইছেন তাঁরা। কারাদণ্ড না হলে যেন চুল কেটে নেওয়া না হয়, সে নিয়ে বিশেষ আবেদন জানালেন অভিনেতা।
সোমবার শীজ়ানের আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই তিনি একগুচ্ছ দাবি তোলেন। শীজ়ান সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেই তাঁর মত। সেই সঙ্গে জানালেন শীজ়ানের বিশেষ অনুরোধের কথাও। বললেন, “যে মুহূর্তে এই সব চুকবে আবার কাজে ফিরতে হবে শীজ়ানকে। পরিবার এবং নিজের জন্য রোজগার করতে হবে। তখন যদি মাথার চুল বা চেহারা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সেটা কাম্য নয়। তাই পুলিশের হেফাজতে অভিনেতার যত্নআত্তির প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর চুল যেন না কাটা হয়! কারাদণ্ড হলে আলাদা কথা। তবে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
এই সাংবাদিক বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন শীজ়ানের বোন ফলক নাজ়। সম্প্রতি, নেটদুনিয়ায় খবর ছড়ায় যে, শীজ়ান নাকি তুনিশাকে বোরখা পরতে বাধ্য করতেন। বিষয়টির বিরোধিতা করে ফলক জানান, তুনিশা এবং শীজ়ানের যে ছবিটি ঘিরে এ হেন দাবি উঠছে সেটি আসলে একটি শুটিং ফ্লোরে তোলা হয়েছিল। এর আগে তুনিশার মা দাবি জানিয়েছিলেন যে, শীজ়ান তাঁর মেয়েকে জোর করে উর্দুতে কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফলকের জবাব, ‘‘দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে করতে সেই চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য অভিনেতার ব্যবহারিক জীবনেও প্রবেশ করে। তার মানে এই নয় যে, আমার পরিবার ওকে জোর করে উর্দুতে কথা বলতে বাধ্য করেছিল।’’
প্রসঙ্গত, প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। যে ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তাঁর দাবি, প্রেমিক তথা সহ-অভিনেতা শীজ়ানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, মাদক সেবন করতেন অভিনেতা। আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে তুনিশাকে ঠকিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, তুনিশাকে বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন শীজ়ান। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শীজ়ানকে।