—প্রতীকী চিত্র।
টলিপাড়ায় ভেন্ডার্স গিল্ড (সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন) যে কর্মবিরতির পথে হাঁটতে পারে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ভেন্ডার্স গিল্ডের তরফে অভিযোগ উঠেছে যে, ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু প্রযোজক এবং ফেডারেশন (ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইর্স্টান ইন্ডিয়া) তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। সূত্রের খবর, তাদের বেশ কিছু সাপ্লায়ারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, অসহযোগিতা চলতে থাকলে তারা কর্মবিরতির পথে হাঁটবে।
সংগঠনের সদস্যদের কাছে গিল্ডের তরফে পাঠানো মেসেজে লেখা হয়েছে, ‘‘ফেডারেশনের কিছু সদস্য আমাদের বেশ কিছু সাপ্লায়ারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।’’ এরই সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘‘এ রকম যদি চলতে থাকে, তা হলে আমরা বন্ধের রাস্তায় যাব।’’ পাশাপাশি ওই মেসেজে সংগঠনের যে সদস্যদের উপরে প্রযোজক বা ফেডারেশনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, প্রযোজক এবং ফেডারেশনের তরফে তাঁদের উদ্দেশে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
রবিবার বিকেলে এই মর্মে সংগঠনের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এ দিকে ভেন্ডার্স গিল্ডের তরফে সতর্কবার্তা পেয়ে টলিপাড়ার একাংশ কর্মবিরতির আশঙ্কা দেখছে। সূত্রের খবর, ফেডারেশন সাপ্লায়ারদের উপরে ‘অনৈতিক’ শর্ত আরোপ করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। তা না মানলেই সেই সরবরাহকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। তা হলে কি সত্যিই সাপ্লায়াররা বন্ধ ডাকতে চলেছেন? সোমবার সংগঠনের সভাপতি সৈকত দাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘সামনে পুজো আসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আগলে রেখেছেন। সব দিক ভেবে আমরা কিন্তু কর্মবিরতির পথে হাঁটতে চাইছি না।’’ এই মুহূর্তে তাঁরা ফেডারেশনের তরফে ক্ষমাপত্রের আশায় রয়েছেন। অন্যথায় কোনও আগাম নোটিস ছাড়াই যে কোনও দিন তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে জানালেন সৈকত।
রবিবারের বৈঠকের পর ফেডারেশনের সঙ্গে কি তাঁরা কথা বলেছেন? সৈকত বললেন, ‘‘আমরা এখনও ওদের কোনও চিঠি দিইনি। তবে জানি, ওদের কাছে খবর ঠিকই পৌঁছবে।’’ সমস্যা যে দ্রুত মিটে যাবে, তা নিয়ে আশাবাদী টলিপাড়া।