সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা): প্রচণ্ড খারাপ খবর। কাজে এসে খবরটা পেলাম। ওঁর একটা অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। এত তাড়াতাড়ি সংলাপ মুখস্থ করতে আমি খুব কম মানুষকেই দেখেছি।
রাজ চক্রবর্তী (চিত্র পরিচালক): কী করে এটা সম্ভব কে জানে! আজ ভোরে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ দেখছিলাম। এই ছবিতে অভিনয় করেছিল রীতাদি। আর সকাল হতেই খারাপ খবরটা পেলাম। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এই তো সে দিন ‘গুটিমল্লার’-এও ছিল রীতা দি। এত ভাল অভিনেত্রী টলিউডে খুব কমই আছেন। তিনি সেটে থাকলেই নতুন অভিনেত্রীরা ওঁর থেকে টিপস পেতেন। খুব খারাপ লাগছে।
দোলন রায় (অভিনেত্রী): ওঁর কাজ দেখে অভিনয় জগতে এসেছিলাম। এত ভার্সাটাইল অভিনেত্রী খুব কমই আছেন এই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে শেষ চার-পাঁচটা মাস ওঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগটা খুব বেশি ছিল। আসলে রীতাদি আর আমি দুটি বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করছিলাম। আর সিরিয়ালের সেট দুটো এক্কেবারে পাশাপাশি। মেক আপ রুম নিয়ে একটু সমস্যা হওয়ার জন্য দু’জনে একটা মেকআপ রুম শেয়ার করতাম। গত কয়েক মাস ধরে দেখেছি ক্যানসারের সঙ্গে অসম্ভব লড়াই করে অভিনয় করে গিয়েছেন দিদি। অসুবিধের জন্য কখনও বসতে পারতেন না। হয় দাঁড়িয়ে, নয়তো শুয়েই কাটাতে হত। খুব ফাঁকা লাগছে। টলিউড এক অসম্ভব ভাল অভিনেত্রীকে হারাল।
তুলিকা বসু (অভিনেত্রী): আমি এখন হরিদ্বারে। একটা সিরিয়ালের শুটিং চলছে। ফেসবুকে হঠাৎ খবরটা পেলাম। কী খারাপ লাগছে। শান্তি পাচ্ছি না এখানে বসে। মনে হচ্ছে এখনই ছুটে চলে যাই।
দেবলীনা দত্ত (অভিনেত্রী): সেই ‘এক আকাশের নীচে’ থেকে রীতাদি’র সঙ্গে আলাপ। এর পর কত কত মেগা সিরিয়ালে যে অভিনয় করেছি তার কোনও হিসেব নেই। উনি যে অসুস্থ ছিলেন, এই খবরটাই আমি জানতাম না। আমি একা নয় আমার মতো ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই জানতেন না খবরটা। খুবই শকিং। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।