ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ফাইল চিত্র।
তিনি কোনও ইঁদুরদৌড়ে নেই। তাঁর অভিনয়ের ঘরানা নিজস্ব। রয়েছে নিজস্ব দর্শক বৃত্ত। শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এক দিকে রয়েছে পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, অন্য দিকে রয়েছে নবাগত পরিচালক সম্রাট শর্মার ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ । উল্লেখ্য ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ ছবিটির অন্যতম নিবেদক ও তিনি।
মনের মধ্যে কী চলছে তাঁর? কতটা উত্তেজনা, কতটা নস্টালজিয়া ভিড় করে আসছে? জানার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ঋতুপর্ণা বলছিলেন, “দুটো আলাদা ছবি, ভাবনাও আলাদা। কিন্তু তার মধ্যে যোগসূত্র আমি! একটা আপাত সিরিয়াস ছবি, অন্যটা রোম্যান্টিক বাণিজ্যিক ঘরানার। খুবই বিচক্ষণ ভাবে বিষয়টাকে দেখছি।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরে দুটো ছবিরই প্রিমিয়ার শো। কোন প্রিমিয়ারে আগে হাজির হবেন ঋতুপর্ণা? প্রশ্ন শুনে তাঁর সহাস্য উত্তর, “দুটো প্রিমিয়ারেই যাব। বিষয়টা খুব কঠিন নয়। ঠিক ম্যানেজ করে নেব। আসলে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ কিছু দিন আগে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবটাই ভাগ্য। আমি জানি ঈশ্বর ঠিক জাস্টিস করবেন”।
২৫ নভেম্বর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে একটি, নবাগত পরিচালক সম্রাট শর্মার ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। নিজস্ব চিত্র
একটা সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে একই দিনে নায়ক-নায়িকার একাধিক ছবিমুক্তির রেওয়াজ ছিল। দর্শকও পাল্লা দিয়ে পরপর শোয়ে ছবি দেখতে ভিড় করতেন। তাঁর জীবনে এরকম কোনও দিনের কথা মনে পড়ে? অতীত হাতড়ালেন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণার কথায়, “বহু বার এরকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছি। মনে পড়ছে, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ও ‘বসতির মেয়ে রাধা’ দুটো ছবিই একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল এবং সুপারহিট হয়েছিল।” কিন্তু আজকে যেখানে বলা হচ্ছে বাংলা ছবি ব্যবসা করতে পারছে না, সেখানে একই দিনে ঋতুপর্ণার মতো অভিনেত্রীর দুটো ছবির মুক্তি বক্স অফিসে অভিশাপ না কি আশীর্বাদ? “ছবি ভাল হলে বক্স অফিসে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। আমাদের সব ধরনের দর্শক রয়েছেন। তাই আমার বিশ্বাস ছবির মেরিট ছবিকে ঠিক চিনিয়ে দেবে,” সহজ উত্তর তাঁর।
২৫ নভেম্বর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে একটি পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। নিজস্ব চিত্র
সময়ের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে বদল এসেছে। ছবি আধুনিক হলেও তার সংখ্যা কমেছে। আগে দর্শক যে ভাবে সিনেমাকে উদ্যাপন করতেন এখন কি তাতে কোনও বদল ঘটেছে? ঋতুপর্ণার উত্তর, “না এখনও পুরোটা বদলায়নি। এখনও ছবিমুক্তি ঘিরে সেই টেনশন ও উত্তেজনা টের পাই।” সেই সঙ্গে বাংলা ছবির দর্শক তথা তাঁর অনুরাগীদের প্রতি ঋতুপর্ণার আবেদন, তাঁরা যেন অভিনেত্রীর কাজকে সম্মান জানান, আর তাঁর কাজের পাশে থাকেন। কারণ পর্দার ‘বেগমজান’ এর কথায়, “আমি অনুরাগীদের ভালবাসি। তাঁদের জন্যই তো আমরা আমাদের জায়গায় রয়েছি।”