মনীষা
জুনের ২ তারিখ শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন ইনিংস! ও দিনই রিলিজ করছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ডিয়ার মায়া’। প্রায় বছর পাঁচেক বাদে পরদায় ফিরতে চলেছেন মনীষা কৈরালা।
তার আগে ছবির ট্রেলার লঞ্চে এসে মনীষা তাঁর ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে অদ্ভুত সব কথা শোনালেন, ‘‘কত বার আমি শট দিয়েছি, সেটা কথা নয়। প্রত্যেক বার একই কাণ্ড ঘটে। পেটটা কেমন করে, অসম্ভব নার্ভাস লাগে।’’
কে বলছেন? না, ‘বম্বে’, ‘দিল সে’, ‘খামোসি’র মতো ছবি যার কেরিয়ার গ্রাফে! এই ছবি করার সময়ও প্রত্যেক শটের পর তিনি নাকি ভেবে গিয়েছেন, ঠিক হল তো, না কি ভুল! ‘‘আসলে ছবিতে এত কিছু অদলবদল হয়েছে, সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে আমায় অ্যাডজাস্ট করে যেতে হয়েছে, ভয়টা আরও ছিল সেখানে,’’ অকপট মনীষা। তবে সে যা-ই হোক, মায়া যে তাঁর অভিনীত অসম্ভব প্রিয় চরিত্রগুলোর একটি, বারবার বলছেন সে কথা। গল্পটি মায়া নামের এক মহিলাকে ঘিরেই। তাকে দুষ্টু-দুষ্টু সব চিঠি পাঠায় দুই বালিকা। ঘটনায় বড় বাঁক আসে, যখন মায়া নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ছবিটি পরিচালনা করছেন সুনয়না ভাটনগর। সুনয়নার অন্য একটি পরিচয়, তিনি ইমতিয়াজ আলির বেশ কয়েকটি ছবিতে সহযোগী ছিলেন। বন্ধু-সহযোগীর ট্রেলার লঞ্চে হাজির ছিলেন তিনিও। মনীষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, ইমতিয়াজ স্মৃতিতে ফিরে যান। কবে তাঁর সঙ্গে মনীষার প্রথম দেখা হয়, সেই গল্পে।
ইমতিয়াজ তখন প্রথম ছবি তৈরি করছেন। এক পড়শি তাঁকে ডাক পাঠান। তিনি নাকি বলেন, ‘‘আজ আমাদের বাড়িতে একজন বিশেষ অতিথি, তুমি আলাপ করে যাও।’’
আন্ধেরির ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্ট। ইমতিয়াজ ঘরে ঢুকেই দেখেন, পা মুড়ে মাটিতে বসে ট্যাপ থেকে জল খাচ্ছেন মনীষা কৈরালা! পুরো থ মেরে গিয়েছিলেন দেখে!
ইমতিয়াজ বলেছেন, ‘‘সে দিন এতটাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম যে, আমার এটা বলতেও সাহসে কুলোয়নি, আমার দেখা সেরা সুন্দরী আপনি! বছর বছর ধরে আপনার ছবি আমি দেখে চলেছি।’’
ইমতিয়াজের কথা শেষ হওয়ার আগেই তুমুল হাততালিতে ফেটে পড়ে সভাঘর। জ্বলজ্বলে চোখে ঝিকিয়ে উঠলেন মনীষাও!