(বাঁ দিকে) অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (ডান দিকে) শ্বেতা বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার অন্যতম নামজাদা ফিল্মি পরিবারের অন্দরে ভাঙনের আঁচ! বচ্চন পরিবারে সদস্যদের নাকি একে অপরের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না একেবারেই। গত কয়েক মাস ধরে মায়ানগরী সরগরম এই খবরে। ১৬ বছর আগে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে বচ্চন পরিবারে পা রেখেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই। তার পর থেকে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন নামেই পরিচিত তিনি। গত দেড় দশকের বেশি সময়ে একাধিক বার বচ্চন পরিবারের সদস্যদের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বলিউডে। শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গে নাকি আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ঐশ্বর্যার, এমন কানাঘুষোও শোনা গিয়েছে বহু বার। গত কয়েক মাসে আরও বেড়েছে সেই গুঞ্জন। তবে ঐশ্বর্যা-অভিষেকের বিয়েতে নাকি প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল ননদ শ্বেতার! বাবা-মাকেও নাকি বুঝিয়েছিলেন শ্বেতা, যাতে এই বিয়ে না হয়। তবে লাভ হয়নি।
ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের সঙ্গে বাগ্দান সেরেছিলেন অভিষেক। কিন্তু এক মাস পরেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। বাগ্দান হওয়ার পরে খুশি ছিলেন করিশ্মা। নিজের আনন্দের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিষেকের মন বদলে যায়। অভিনেতাই এই সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ছেলের সিদ্ধান্তে নাক গলায়নি পরিবার, জানিয়েছিলেন জয়া। এর পর পরই ঐশ্বর্যার সঙ্গে প্রণয় সম্পর্কে জড়ান। যদিও দিদি শ্বেতা চেয়েছিলেন কপূর পরিবারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার। কিন্তু তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি তিনি। শোনা যায়, বচ্চন বাড়ির বৌমা হিসেবে করিশ্মাকেই পছন্দ ছিল শ্বেতার। কারণ তাঁর শাশুড়িও কপূর পরিবারে মেয়ে। সে ক্ষেত্রে করিশ্মা সম্পর্কে দিক থেকে শ্বেতার তুতো ননদ। তাই ননদকেই ভাইয়ের বৌ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসেন অভিষেক। ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন জুনিয়র বচ্চন।