সিনেমায় ভিলেনকে হারিয়ে প্রেমের জয়গান গাইলেও, বাস্তব জীবনে কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করেননি এই সেলিব্রিটিরা। একেবারে দেখে শুনে, পরিবারের মতে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছেন এই সেলেবরা। গ্যালারির পাতায় দেখে নিন তালিকায় রয়েছেন কোন কোন তারকা।
১৯৯৯ সালে কত পুরুষেরই যে মন ভেঙেছিলেন, তার হিসেব মেলা ভার। বলিউডের সেই ‘ধক ধক’ গার্ল মাধুরী দিক্ষীত বিয়ে করেছিলেন চিকিত্সক শ্রীরাম নেনেকে। বিয়ের পর বলিউডকে বিদায় জানিয়ে, মার্কিন মুলুকে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০০৭-এ ‘আজা নাচলে’তে কামব্যাক করেন মাধুরী। বিয়ের আগে নাকি হাতে গোনা কয়েকদিন দেখা করেছিলেন মাধুরী ও শ্রীরাম।
ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে জানতেন সকলেই। কিন্তু সেই প্রেম টেঁকেনি। ব্রেক আপের পর বিবেকের মা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাত্কারে বিবেক জানিয়েছিলেন, প্রথম দিন মাত্র কুড়ি মিনিট কথা হয়েছিল বিবেক ও প্রিয়ঙ্কা সালভের। এর পর ২০১০-এ বিয়ে করেন তাঁরা। বিবেক-প্রিয়ঙ্কার দুই সন্তানও রয়েছে।
করিনার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টেঁকেনি। পরিবারের পছন্দেই মীরা রাজপুতের সঙ্গে ২০১৫-এ বিয়ে সেরে ফেলেন শাহিদ কপূর। তবে বিয়ে হয়েছিল একেবারেই গোপনে।
বলি অভিনেতা নীল নীতীন মুকেশও অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছিলেন। উদয়পুরে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের কথা জানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন ফ্যানেদের। ২০১৬-এ রোকার পরেই এলাহি আয়োজন করে বিয়ে সেরে ফেলেন নীল ও রুক্মিনী সহায়।
প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা শাম্মি কপূরও তাঁর প্রথম স্ত্রী গীতা বালির মৃত্যুর পর অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছিলেন। একটি সাক্ষাত্কারে শাম্মির দ্বিতীয় স্ত্রী নীলা দেবী জানিয়েছিলেন, ৯ বছর বয়সে প্রথম অভিনেতা শাম্মিকে দেখেছিলেন তিনি। পরে রাজ কপূরের স্ত্রী কৃষ্ণা রাজ কপূরের মারফত শাম্মির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। এর পর বিয়ে করেন তাঁরা।
একেবারে ট্র্যাডিশনাল বিয়ে সেরেছিলেন ভারতীয় সিনেমার ‘চ্যাপলিন’ও। হ্যাঁ, রাজ কপূর। বাবা পৃথ্বিরাজ কপূরের পছন্দেই কৃষ্ণা মলহোত্রর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন রাজ।