হরেক কিসসা কানে আসে বলি তারকাদের নিয়ে। তার থেকেও বেশি কাহিনি শোনা যায় তাঁদের ভক্তদের সম্পর্কে। কিছু তারকা তো আবার বিয়ে অবধি করে ফেলেছিলেন নিজের অন্ধ ভক্তকে। আজ এমনই কিছু তারকার কাহিনি জেনে নেব যাঁরা ফ্যানের গলাতেই মালা পরিয়েছিলেন।
সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, শিল্পা শেঠির ভক্ত প্রায় সকলেই। শিল্পার তেমনই এক ভক্তের নাম রাজ কুন্দ্রা। দেশের নামজাদা শিল্পপতি রাজ। শিল্পার প্রেমে পুরোপুরি হাবুডুবু খাচ্ছিলেন এক সময়ে। অভিনেত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পর বিয়েতেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন শিল্পা। অতঃপর ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন দু’জনে।
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সহপাঠী এষা দেওলের ভক্ত ছিলেন ভরত তখতানি। এষা দেওল, স্টারকিড বলে কথা। কিন্তু এই এষা স্টার হওয়ার পরেই ভরত ভেবেছিলেন, বিয়ের রাস্তাটা বোধ হয় শেষ। কিন্তু না। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে দীর্ঘদিনের বন্ধু ভরতকেই বিয়ে করেন এষা।
দিলীপ কুমার আর সায়রা বানুর মতো কাপল বোধ হয় বলিউডে খুবই কম দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই বোধ হয় জানেন না, সায়রা বানু ছোট থেকেই দিলীপ কুমারের ভক্ত। দিলীপ কুমারকে বিয়ে করবেন, এ যেন দিবাস্বপ্ন ছিল সায়রা বানুর কাছে। ১৯৬৬ সালে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুকে বিয়ে করেন ৪৪ বছরের দিলীপ কুমার।
অভিনয়ের জাদুকরি আর নাচের অদ্ভুত ধরনে অনেক মহিলারই মনে জায়গা পাকা জায়গা করে নিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। তেমনই একজন হলেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানসেবিকা শোভা। শোভার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর জিতেন্দ্রও তাঁর প্রেমে পড়ে যান। পরে ১৯৭৪ সালে শোভাকে বিয়ে করেন জিতেন্দ্র।
ব্যক্তিগত জীবন আর ফিল্মি কেরিয়ারে নানান চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে যেতে হয়েছিল অভিনেতা বিবেক ওবেরয়কে। তাঁর আর ঐশ্বর্যা রাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে এক সময়ে উত্তাল আবহাওয়া ছিল টিনসেল টাউনে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক আর বিয়ে অবধি গড়ায়নি। পরে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় বিবেকের। আর যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়, সেই প্রিয়ঙ্কা আলভা ছিলেন কর্নাটকের এক মন্ত্রীর কন্যা। যদিও প্রিয়ঙ্কা স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি বরাবরই বিবেকের ফ্যান ছিলেন।
এক সময়ে এ দেশের নারীদের চিত্ত উচাটনের অন্যতম কারণ ছিল রাজেশ খন্না আর তাঁর ছবি। ডিম্পল কপাডিয়াও ছিলেন রাজেশের তেমনই এক ভক্ত। ১৬ বছর বয়সে রাজেশ খন্নার গলায় মালা পরিয়েছিলেন তাঁরই ফ্যান ডিম্পল কপাডিয়া। যদিও বিয়ের ৯ বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। কিন্তু রাজেশ খন্নার জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁর পাশে ছিলেন ডিম্পল কপাডিয়া।