যে কোনও চরিত্রেই মানিয়ে নিতে পারলে, সেই চরিত্রে মিশে যেতে পারলে তবেই অভিনেত্রী বা অভিনেতার সার্থকতা। সাধারণ মেয়ের চরিত্র হোক বা কল গার্ল, পর্দায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন এই অভিনেত্রীরা। কল গার্লের চরিত্রে বিশেষ করে অত্যন্ত সাবলীল ছিলেন বেশ কয়েকজন বলি নায়িকা।
‘চাঁদনি বার’ ছবিতে অভিনেত্রী তব্বু কাজ করেছিলেন ‘মুমতাজ’ নামের এক কল গার্লের চরিত্রে।
‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে প্রীতি জিন্টা অভিনয় করেছিলেন মধু নামে এক যৌন কর্মীর চরিত্রে। কিন্তু ছবিতে যৌন কর্মীর চেয়ে তাঁর সারোগেট মাদার চরিত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।
‘দেবদাস’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিত অভিনয় করেছিলেন চন্দ্রমুখীর চরিত্রে। ছবি তেমন না চললেও প্রশংসা পেয়েছিল মাধুরীর অভিনয়।
‘দেব ডি’ ছবিতে কল্কি কোয়েচলিন অভিনয় করেন লেনি (চন্দা) নামের চরিত্রে, যে সকালে পড়াশোনা করত, আর রাতে কল গার্লের পেশা বেছে নিয়েছিল। অনুরাগ কাশ্যপের ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল।
‘চামেলি’ ছবিতে করিনা কপূরের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্ত বালানি, সুধীর মিশ্র এই ছবিতে করিনার অভিনয়ের পাশে রাহুল বোসের মতো অভিনেতাকেও ম্লান লেগেছিল, বলেছেন অনেকেই।
‘লাগা চুনরি মে দাগ’ ছবিতে রানি মুখোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন নাতাশা নামে এক এক্সক্লুসিভ কল গার্লের চরিত্রে। সংসার চালাতেই এই পেশা বেছে নিয়েছিলেন নাতাশা, দেখানো হয়েছিল এমনটাই।
‘বদলাপুর’-এ হুমা কুরেশি অভিনয় করেন জানকী ঝিমলি দাগাঁওকর নামে এক যৌনকর্মীর চরিত্রে। ছবিতে হুমার বিপরীতে ছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।
‘উমরাও জান’ ছবিতে রেখার অভিনয় নিয়ে সমালোচকরা আজও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আমিরান, উমরান নামে এক যৌন কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রেখা। উনিশ শতকের এক যৌন কর্মী হিসাবে দেখানো হয়েছিল তাঁকে।
পরবর্তীতে ‘উমরাও জান’-এর রিমেকেসেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্যা রাই।
সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় পরিচালিত ‘বেগম জান’ ছবিটিতে যৌনকর্মীর ভূমিকায় বিদ্যা বালন ছাড়াও আরও অনেকে অভিনয় করেছিলেন।