প্রিয়ঙ্কা-দীপিকা-পরিণীতি-স্বরা-কঙ্গনা
বলিউডের অলিখিত একটা নিয়ম আছে। নায়িকাদের কপাল খুলতে তাঁদের একবার অন্তত কাজ করতে হবে কোনও না কোনও খানের বিপরীতে। শাহরুখ, সলমন, আমির— যে সম্রাটের তাঁবুই পছন্দ হোক না কেন, ভিড়ে যেতে হবেই! কিন্তু নারী ক্ষমতায়নের যুগে পুরুষদের কাঁধে ভর করেই কেরিয়ার এগোতে হবে, এমনটা কি আদৌ মনে করেন অভিনেত্রীরা? করেন না। তার পরিচয় দিয়েছেন এমনই কয়েক জন নামকরা বলি-অভিনেত্রী।
স্বরা ভাস্কর
তাঁকে নিয়ে বিতর্ক প্রবল। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘পদ্মাবত’এ জহরব্রতকে মহিমান্বিত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এটাই স্বরার সাহসিকতার একমাত্র উদাহরণ নয়। আনন্দ এল রাইয়ের ‘জিরো’র জন্য স্বরাকে বলা হয়েছিল শাহরুখ খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে। সটান না করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছের কথা বলেছেন। কিন্তু তা বলে সুপারস্টারের মায়ের রোল? স্বভাবতই রোলটা করলেন না স্বরা।
দীপিকা পাড়়ুকোন
শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর কেমিস্ট্রির কথা সকলেই জানেন। ‘ওম শান্তি ওম’ বা ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর সাফল্যই সে কথা বলে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের আদান-প্রদান দেখেও বোঝা যায়, তাঁদের দহরম-মহরমের কথা। হয়তো শাহরুখের সঙ্গে এতটা ঘনিষ্ঠতা বলেই দীপিকা চার বার ‘না’ করেছেন সলমন খানকে! ‘জয় হো’, ‘কিক’, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’, ‘সুলতান’— করেননি কোনওটাই।
কঙ্গনা রানাওয়াত
ইনি বরাবরই ব্যতিক্রমী। ‘না’ করেছেন তিন খানকেই। সলমনের সঙ্গে ‘সুলতান’-এ কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে মহিলা চরিত্রটি তাঁকে ততটাও উদ্বুদ্ধ করেনি বলে জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। শোনা যায়, আমির খান ‘দঙ্গল’-এর জন্যও বলেছিলেন কঙ্গনাকে। রাজি হননি তিনি। এখন খবর, শাহরুখ খানের ‘জিরো’-তেও তাঁকে একটি চরিত্র করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি রোল নয় বলে ‘না’ করেছেন সেখানেও।
পরিণীতি চোপ়়ড়া
ভাল অভিনেত্রী হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে পরিণীতি চোপড়ার। মাঝে অনেকদিন কোনও ছবিতে তেমন সুবিধে করতে পারছিলেন না ঠিকই, কিন্তু ‘গোলমাল এগেন’-এ ভালই সাফল্য পেয়েছিলেন নায়িকা। বড় দাঁও মারার সুযোগ থাকলেও ‘কিক’-এ সলমনের বিপরীতে কাজ করতে রাজি হননি তিনি। শেষে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ করলেন রোলটা।
করিনা কপূর খান
শাহরুখ খানের ‘কল হো না হো’-তে কাজ করতে অসম্মত হয়েছিলেন করিনা কপূর। তখনও তিনি নিজে ‘খান’ হননি অবশ্য। কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে হেঁকে বসেছিলেন শাহরুখের সমান মূল্যের অর্থ। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে বৈষম্যের বিরাট নজির তৈরি হয়েছিল তখনই। কর্ণ জোহর কিছুতেই রাজি হননি করিনাকে ওই অর্থমূল্য দিতে। শেষে প্রীতি জিন্টাকে দিয়ে কাজটা করান তিনি।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
আমির খানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। ‘গজনী’-তে আসিনের রোলটা করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু আকস্মিক মৃত্যু হবে, এমন চরিত্র করতে রাজি হননি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া! আমিরও কাজ শেষ করে নেন আসিনের সঙ্গেই।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন
ইনিও ‘না’ করেছিলেন আমির খানকে। ‘রাজা হিন্দুস্তানি’-তে করিশ্মা কপূরের চরিত্রে তাঁকে কাজের অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলেন অল্পবয়সি ঐশ্বর্যা। আমিরের সঙ্গে তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর কাজ করেননি অভিনেত্রী।