ব্রাত্য
থিয়েটারের সর্বক্ষণের কর্মীদের জন্য এগিয়ে এল ‘ব্রাত্যজন একান্নবর্তী পরিবার’। ব্রাত্য বসু এবং তাঁর দলের কর্মীদের সমবেত প্রয়াসে তৈরি করা হয়েছে একটি ফান্ড, যার মাধ্যমে অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে কলকাতা এবং কলকাতা দূরবর্তী অঞ্চলের বিপন্ন নাট্যশিল্পীদের। রাজ্যের সব জেলাও এর আওতাধীন। শুধুমাত্র সর্বক্ষণের থিয়েটারে অভিনয় এবং প্রযুক্তির কাজ করেন যে শিল্পীরা, তাঁদের জন্যেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। এই প্রচেষ্টায় ‘ব্রাত্যজন’ পাশে পেয়েছে ‘জাহান্নমের সমাচার’-এর নাট্যবন্ধুদের এবং সারা রাজ্যের শতাধিক নাট্যদলকে। ‘ব্রাত্যজন’-এর মতোই এই সময়ে নাট্যকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেনদের ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ সংগঠন। ‘জেলা ফান্ড’ তহবিল তৈরি করে সাহায্যের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর সহযোগীরাও। ‘ব্রাত্যজন একান্নবর্তী পরিবার’ এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছে। ‘কালিন্দী ব্রাত্যজন’-এর পৃথ্বীশ রাণা জানালেন, ২৮০ জনের একটি তালিকা তৈরি হয়েছে আপাতত, সংখ্যাটা আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এই বিপন্ন শিল্পীদের জন্য মাসোহারার ব্যবস্থার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত বাইরের কারও সাহায্য না নিয়েই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই তহবিল। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ক্রাউডফান্ডিং করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানালেন ব্রাত্য। ‘‘এই বিপর্যয় কেটে গেলেও তার রেশ রয়ে যাবে আরও অনেক দিন। যত দিন পারব, আমরা নিজেদের উদ্যোগেই সাহায্য চালিয়ে যাব। তার পরে প্রয়োজন হলে অর্থ সংগ্রহ করা হবে,’’ বললেন তিনি। তাঁর থিয়েটারের জগৎ তো থমকেই, পাশাপাশি বহু দিন পরে তিনি পরিচালনায় ফিরতে চলেছেন যে ছবির মাধ্যমে, সেই ‘ডিকশনারি’র শুটিংও বাকি রয়ে গিয়েছে। ‘‘এখনও দু’দিনের শুট বাকি আছে। এই মুহূর্তে আর সে কথা ভাবছি না,’’ বললেন পরিচালক। লকডাউনে তিনিও গৃহবন্দি। তাই বই পড়ে, সিনেমা দেখে আর লেখালিখি করেই কাটছে অবসর।