‘মেরি প্যায়ারি বিন্দু ’র ট্রেলারের দৃশ্য
সিনেমার ট্রেলারই ছবির এক ঝলক। ট্রেলার দেখেই দর্শক ঠিক করে নেন এই ছবি দেখতে হলে গেলে পয়সা উসুল হবে কি না? প্রথম ঝলক ভাল হলে পরিচালক-প্রযোজকরা অর্ধেক সাফল্য সেখানেই পেয়ে যান। আয়ুস্মান খুরানা ও পরিণীতি চোপড়া অভিনীত ‘মেরি প্যায়ারি বিন্দু ’র প্রথম ট্রেলার সম্প্রতি সামনে এসেছে। বহু দিন ধরে এই ছবি চর্চায়। মূলত কলকাতাতেই শুটিং হয়েছে এই ছবির। তবে এই ছবির জন্য যারা অধীর আগ্রহে বসেছিলেন, তাঁরা ট্রেলার দেখে মোটেই সন্তুষ্ট নন। কেননা এর প্রথম ট্রেলারে আয়ুস্মান ও পরিণীতির টিকি অবধি দেখা যায়নি। দেখা মিলেছে খালি ওদের ছোট্টবেলার। বিন্দু আর অভিমন্যুর ছোটবেলার। তবে চ্যাপ্টার টুতে দেখা মিলেছে আর আয়ুস্মান ও পরিণীতির। সেখানে ওঁরা গব্বর ও শাম্ভা। আর চ্যাপ্টার থ্রিতে পাওয়া গিয়েছে কলকাতার ‘ম্যাডোনা’র। কেন এই ধীরে ধীরে জট কাটানোর প্রবণতা?
আরও পড়ুন- ‘একমাত্র মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া কোথাও কাস্টিং কাউচের সমস্যা দেখিনি’
সিনেমার ট্রেলারই ছবির এক ঝলক। পরিণীতি চোপড়া।
এটাই নাকি ছবির মার্কেটিং টিমের স্ট্র্যাটেজি। পাঁচটি ভাগে তাঁরা ধীরে ধীরে ছবির ট্রেলার খোলসা করবেন দর্শকের কাছে। বিন্দু আর অভিমন্যুর ৫ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর অবধি ধরা পড়বে ছবিতে। পাল্প ফিক্শন লেখক অভিমন্যুও টাইপরাইটারে সেই পাঁচটি পর্যায়কেই তুলে ধরছেন। জানলা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বিন্দুর প্রথম বার আসা থেকে ওর হেডফোনটা নিজের কানে কেড়ে নেওয়া। তার থেকেও বড় কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পাঁচটি পর্যায় মোহিত করবে দর্শককে। প্রত্যেকেই এই দিকগুলো দিয়ে নিজেদের জীবনেরও কিছু না কিছু মিল খুঁজে পাবেন বলে দাবি পরিচালকের। ঠিক যেমন চাটনি ছাড়া সিঙ্গারা বিন্দুমাত্র জমে না। আর সেটা পুদিনার চাটনি হলে তো কথাই নেই। এটা ফিল্মের বিন্দুর মতো অনেকেই ভাবে।
দেখুন ভিডিও
প্রযোজক মনীশ শর্মা বলছেন, “মেরি প্যায়ারি বিন্দুকে প্রোমোট করার, এর থেকে ভাল কোনও উপায় আমার মাথায় আসেনি। এই চরিত্রদুটো একে অন্যকে যেভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে, সেটা আস্তে আস্তে দর্শকের সামনে নিয়ে আসাই ভাল মনে হয়েছে।” যশ রাজ ফিল্মসের মার্কেটিং হেড মনন মেহতা বলছেন, “আমাদের চেষ্টা ছিল, মানুষের জীবনের গল্প যেন দর্শকের কাছে একটা সৎ অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও ডিজিটাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে ছবির স্বার্থে পাঁচ দিনে পাঁচটা অধ্যায় করেই ট্রেলারটা আমরা দেখাতে চেয়েছি।”
১২ মে মুক্তি পাবে ‘মেরি প্যায়ারি বিন্দু ’।