দুই রূপে আরিফিন শুভ। ছবি: ফেসবুক।
শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে কোটা আন্দোলন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন থেকে গণ অভ্যুত্থান। যার জেরে হাসিনা সরকারের পতন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টের খবর অনুযায়ী, এর পরেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনা সরকারের করা একাধিক পুরনো পদক্ষেপের পুনর্সংস্করণ ঘটাচ্ছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হচ্ছে একাধিক প্রকল্পও। সেই পদক্ষেপের জেরে বৃহস্পতিবার বাতিল হল অভিনেতা আরিফিন শুভর ১০ কাঠা জমি। নেপথ্য কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, শুভ শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে ‘বঙ্গবন্ধু’র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শুভ এ পার বাংলার ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তালিকায় রঞ্জন ঘোষের ‘আহা রে’, অরিন্দম শীলের ‘বালিঘর’। কী কারণে জমি হারালেন দুই বাংলার অভিনেতা? সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল শুভর সঙ্গে। তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। এ দিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সে দেশের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পূর্বাচলের ‘নতুন শহর’ প্রকল্পে সংরক্ষিত কোটায় ১০ কাঠা জমি পেয়েছিলেন অভিনেতা। সেই জমি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক। বৃহস্পতিবার, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ও পার বাংলার রাজউক-এর এক কর্মকর্তার থেকেই এই খবরটি পায় সে দেশের সংবাদমাধ্যম। শুভ ছাড়াও প্রাপ্ত জমি বাতিল হয়েছে প্রযোজক লিটন হায়দারেরও। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ নভেম্বর ১০ কাঠার এই জমিটি পেয়েছিলেন শুভ। তিন কাঠা জমি দেওয়া হয়েছিল প্রযোজককে।
দেশ যখন গণ অভ্যুত্থানে উত্তাল, তখনই ভাঙন ধরে আরেফিন শুভর পারিবারিক জীবনেও। চলতি বছরে জুলাই মাসে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা সমাদ্দার ন’বছরেরও বেশি সময়ের দাম্পত্যে দাঁড়ি টানেন। সে কথা ১ অগস্ট সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেন অভিনেতা। প্রসঙ্গত, অর্পিতা কলকাতার মেয়ে। বিয়ের আগে থেকেই ঢাকায় পোশাকশিল্পী হিসাবে পরিচিত। ২০১৫ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আনুষ্ঠানিক পরিণয় হয়েছিল শুভ-অর্পিতার। বিয়ের আগে দু’জনেই আশঙ্কা করেছিলেন, ভিন্ধর্ম নিয়ে অশান্তি হতে পারে। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। আরিফিন বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে লেখেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আর অর্পিতা হয়তো বন্ধু হিসাবেই ঠিক আছি। জীবনসঙ্গী হিসাবে নয়।’’