‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে ১০টি দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। ছবি: সংগৃহীত।
কেরলের হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরণ এবং আইসিস-এ যোগদান করানোর কাহিনি নিজের ছবিতে তুলে ধরেছেন বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ছবির নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই মুহূর্তে এই ছবিকে ঘিরে বিতর্ক দেশ জুড়ে, যার আঁচ এসে পড়েছে রাজনীতির জগতে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের ছবি তৈরি হয়েছে। রীতিমতো সঙ্ঘ পরিবারের দিকে আঙুল তুলে বিজয়ন বলেছেন, এটি একটি প্রচারসর্বস্ব (প্রোপাগান্ডা) ছবি। যদিও এই ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে বামশাসিত কেরল সরকার। তবে অবশেষে মুক্তির ছাড়পত্র পেল ছবিটি। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফে এই ছবিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ এই ছবি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দর্শকের জন্য। ছবিটির ১০টি দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
কোন কোন দৃশ্যে চলল কাঁচি?
এই ছবিতে বাদ দেওয়া হয়েছে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভিএস অচ্যুতানন্দের সাক্ষাৎকারের। এ ছাড়াও বেশ কিছু দৃশ্যে হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে সংলাপ থাকায় সেগুলিতে কাঁচি চালানো হয়। ছবিতে একটি সংলাপ রয়েছে যেখানে বলা হয় ভারতীয় কমিউনিষ্টরা ভীষণ দুমুখো। এই সংলাপ থেকে ‘ভারতীয়’ শব্দটা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একটি অংশের কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী দু’দশকে এই রাজ্য মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যে পরিণত হবে, সেই গোটা অংশটি প্রায় বাদ দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। আগামী ৫ই মে হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি এবং সিদ্ধি ইদনানি।