১৯৯০ সাল নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির জেরে উপত্যকা ছাড়তে শুরু করে শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবার। ঠাঁই হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শরণার্থী শিবিরে। তাঁদের ওই দুর্দশার কাহিনি নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’। সম্প্রতি এই ছবির সাফল্য কামনা করে পরিচালক ও প্রযোজককে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
১৯৯০-এর সালের শুরুতে কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ঘরছাড়ার কাহিনি ঘিরে নির্মীত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির ‘আইএমডিবি রেটিং’ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। সিনেমার তথ্যভান্ডার হিসেবে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেস’ (আইএমডিবি)-এ ওই ছবির ‘রেটিং’ হঠাৎ কমে যাওয়ায় টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। যদিও আইএমডিবি-র তরফে জানানো হয়েছে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে দর্শকদের রেটিং দেওয়ার প্রবণতায় ‘অস্বাভাবিকতা’ লক্ষ করা গিয়েছে বলেই বিকল্প পদ্ধতি মেনে ছবির রেটিং দেওয়া হয়েছে।
ছবির রেটিং হঠাৎ কমে যাওয়ার বিষয়টি প্রথম জনসমক্ষে আনেন এক টুইটারব্যবহারকারী। আইএমডিবি-র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পেজের একটি স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করেন তিনি। তাতে আইএমডিবি-র বিবৃতি হিসেবে লেখা, ‘এই ছবির রেটিং পদ্ধতিতে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা গিয়েছে। রেটিং ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে বিকল্প গণনা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি আমরা।’
পরের টুইটে ওই ব্যক্তির দাবি, আইএমডিবি-র নিয়ম অনুযায়ী, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ১০-এ ৯.৬ পাওয়ার কথা। এ দিকে, আইএমডিবি পেজে ওই ছবির রেটিং ১০-এ ৮.৩ রয়েছে। রেটিং কমে যাওয়ার জন্য আইএমডিবি-কেই দায়ী করে তা পরিচালক বিবেকের নজরে এনেছেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই পরিচালক ওই টুইটটি রিটুইট করে লেখেন, ‘এটা অস্বাভাবিক এবং অনৈতিক।’
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইএমডিবি পেজে দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিতে দু’লক্ষ ২৮ হাজার ১২ জন রেটিং দিয়েছেন। তার মধ্যে ৯৫.৩ শতাংশ ব্যবহারকারী এই ছবিকে ১০-এ ১০ নম্বর দিয়েছেন। সাধারণ গড় মেনেই এত দিন ছবির রেটিং করে এসেছে আইএমডিবি। তাই, প্রশ্ন উঠেছে, দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির ক্ষেত্রে কী বিকল্প নিয়ম মেনে চলা হয়েছে? যদিও আইএমডিবি জানিয়েছে, রেটিংয়ের কার্যকারিতা বজায় রাখতেই ওই পদ্ধতি বা নিয়ম প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির জেরে উপত্যকা ছাড়তে শুরু করে শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবার। ঠাঁই হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শরণার্থী শিবিরে। তাঁদের ওই দুর্দশার কাহিনি নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীরি ফাইলস’। সম্প্রতি এই ছবির সাফল্য কামনা করে পরিচালক ও প্রযোজককে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।