‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর হিন্দি সংস্করণের গান লিখেছেন রাকিব।
হিন্দিতে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে অল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়ে ‘পুষ্পা’-র চরিত্রে নিজের কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রশংসিতও হয়েছেন। কিন্তু জানেন কি, ছবির জনপ্রিয় গানগুলি যিনি হিন্দিতে অনুবাদ করেছেন, সেই গীতিকার জীবনের বেশ কিছু বছর কাটিয়েছেন বাংলাতেই?
‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’-এর হিন্দি সংস্করণের গানগুলির কথা লিখেছেন গীতিকার রাকিব আলম। আসানসোলে মামাবাড়িতে দীর্ঘ দিন থেকেছেন তিনি। গানের শিক্ষাও নিয়েছেন। এর পর ‘স্লামডগ মিলেনিয়ার’ ছবিতে কাজ করেছিলেন এ আর রহমানের সঙ্গে। ‘পুষ্পা’-তে কাজের সুযোগ এল কী করে? আনন্দবাজার অনলাইনকে রাকিব জানিয়েছেন, ‘পুষ্পা’-র সঙ্গীত পরিচালক দেবী শ্রী প্রসাদ তাঁকে গানগুলি হিন্দিতে অনুবাদ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অতীতেও দক্ষিণী ছবির হিন্দি সংস্করণের জন্য গান লিখেছেন রাকিব। তবে ‘পুষ্পা’-র মাত্রাতিরিক্ত সাফল্যে খানিক হতবাক গীতিকার। তিনি বললেন, “বহু দিন ধরেই কাজ করছি। গান লেখাই আমার কাজ। কিন্তু ‘পুষ্পা’-র হিন্দি গানগুলি যে তেলুগুর থেকেও বেশি জনপ্রিয় হবে, তা ভাবতে পারিনি।”
তেলুগু থেকে হিন্দিতে গান অনুবাদের সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হয়?
রাকিব বললেন, “আমি যখন গানের কথা লিখি, তখন মাথায় রাখতে হয় নায়কের ঠোঁটের সঙ্গে আমার অনুদিত শব্দ ঠিকঠাক মিলছে কি না। আমি গানের কথা অনুবাদে বিশ্বাসী নই। গানের রেশটা আমি বুঝে নিই। কোন উদ্দেশে গানটি ব্যবহার হচ্ছে, তা বুঝে নিই। এর পর সেই বুঝে আমি গানের কথা ভাবি।” ‘পুষ্পা’-র ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। গানের আমেজ ধরে রেখে নিজের মতো কথা লিখেছেন রাকিব।
‘পুষ্পা’ হিন্দিতে মুক্তি পেল। গানও জনপ্রিয় হল। কিন্তু গীতিকারকে চিনল ক’জন? সাফল্যের পরেও এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাকিবের মনে। তিনি কাজ করতে ভালবাসেন। তবে প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকেছেন আগাগোড়াই। তাঁর কথায়, “জো দিখতা হ্যায়, ওহি বিকতা হ্যায়। কিন্তু আমি কখনওই ক্যামেরার সামনে খুব একটা আসিনি। ‘পুষ্পা’-র সাফল্যের পর সকলে আমার নাম জেনেছেন।”
যে কাজে হাত দিয়েছেন, তাতেই সোনা ফলিয়েছেন। তবুও কাজের সংখ্যা হাতেগোনা। ‘পুষ্পা’-র সাফল্যের পর সেই ছবি বদলাবে বলে আশা করছেন রাকিব।