থলপতি বিজয়। ছবি: সংগৃহীত।
তামিল ছবির অন্যতম বড় তারকা তিনি। তাঁর পারিশ্রমিক পিছনে ফেলবে তাবড় বলিউড তারকাদের। তাঁকে নিয়ে অনুরাগী মহলে উন্মাদনার অন্ত নেই। তিনি পর্দায় দাঁড়ালেই নাকি ছবি হিট। তাঁর ‘বরিসু’ ছবির ‘রঞ্জিথামে’ গানের তালে পা মিলিয়েছে গোটা ভারত। এমন বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও বলিউডে পা দেননি কখনও। বরং এ বার রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে তারকাকে।
নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগ দেন বিনোদন জগতের তারকারা। এই চল দক্ষিণ ভারতে নতুন কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতকে পথ প্রদর্শকও বলা যেতে পারে। বিভিন্ন সময় বিনোদন জগতের তারকা এসেছেন রাজনীতিতে। তার সব থেকে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন জয়ললিতা। এ ছাড়াও রয়েছেন রজনীকান্ত, কমল হাসানের মতো তারকারা। এ বার সেই তালিকায় নতুন নাম থলপতি বিজয়ের। তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নয়, তাঁর লক্ষ্য ২০২৬-এর তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ দলকর্মীকে নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। বিজয়ই হবেন তাঁর দলের সভাপতি। বিজয়ের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের জানান, তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে নামছেন বিজয়। নামে অবশ্যই তামিল রীতি মেনে রাখা হবে।
২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন নাকি তাঁর পাখির চোখ। সেই কারণে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন অভিনেতা। সম্প্রতি চেন্নাইতে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জোরালো হয় জল্পনা। তামিলনাড়ুতে শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে মত দেন অভিনেতা। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তবে অভিনেতার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবরে এক দিকে খুশি তাঁর অনুরাগীরা। অন্য দিকে তাঁদের মনও খারাপ, বড় পর্দায় আর দেখতে পাবেন না বিজয়কে। যদিও এই প্রসঙ্গে অভিনেতার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, আপাতত তিন-চার বছরের বিরতি নিতে চলেছেন তিনি।