অপেক্ষা ছিল অনেক দিনের। ছিল হাজার জল্পনাও। অবশেষে রিলিজ হল সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে তৈরি বায়োপিক ‘সঞ্জু’র টিজার। মাত্র ৮৫ সেকেন্ডের ছোট্ট একটা টিজার। তবুও তাতেই যেন এ ফিল্ম নিয়ে দর্শকদের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। সঞ্জুবাবার চরিত্রে রয়েছেন রণবীর কপূর। রিলিজের আগে জেনে নিন, এ ফিল্মে সঞ্জয়ের জীবনের কোন পর্বগুলো দেখা যাবে।
ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন সঞ্জু। চোখে-মুখে একটাই উপলব্ধি— সাপ-লুডো খেলার মতোই যেন ওঠা-নামা করেছে তাঁর জীবন।
২২ বছরেই জীবনে রক অ্যান্ড রোলের ছোঁয়া। সঙ্গে ড্রাগসের নেশা। গিটার হাতে বেশ খোলামেলা ভাবেই সেই অন্ধকার জীবনের সত্যিটা ছোট্ট টিজারে জানিয়ে দিল ‘সঞ্জু’।
অল্প বয়সে নেশার জগতে চলে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি সঞ্জুকে। অন্ধকার জগৎ থেকে আলো ঝলমলে এক জীবনে সঞ্জুর কামব্যাকের কাহিনিও রোমহর্ষক। লাগাতার শরীরচর্চা করতে করতে এক সময় তো লোকে তাঁকে মহম্মদ আলির সঙ্গেই তুলনা করতে শুরু করে দেয়।
চ্যাটার্ড প্লেনে সফর করাটাও এক সময় সঞ্জুর কাছে জলভাতের মতোই ছিল। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও যে যোগাযোগ ছিল বলে যে অভিযোগ, তা-ও টিজারেই দেখানো হয়েছে।
এক সময়ে বাসের টিকিটের জন্য ভিক্ষাও করতে হয়েছিল সঞ্জুবাবাকে। জেলে থাকাকালীন সময়ে পুলিশের হাতে মারও জুটত। তবে জীবনে ৩০৮ জন প্রেমিকার প্রসঙ্গও তুলেছে ‘সঞ্জু’।
নিউ ইয়র্কে সঞ্জয় দত্ত এমন হোটেলে উঠতেন যেখান থেকে গোটা শহরেরই আমেজটা উপভোগ করতে পারতেন। যে হাতে দামি ঘড়ি পরতেন সেই হাতেই এক সময়ে হাতকড়া পড়তে হয়েছে তাঁকে।
আবার এমন জেলেও সঞ্জুর দিন গুজরান হয়েছে যেখানে একটাও জানলা নেই। কখন দিন হচ্ছে আর কখনই বা রাত হচ্ছে, তা আন্দাজই করতে পারতেন না তিনি। একটা এ কে-৫৬ রাইফেলও ছিল তাঁর কাছে— এমনটাই দেখানো হয়েছে এই ফিল্মে।
তবে টিজারে কেবলই ছবির গল্পের কয়েকটা ছোট্ট ঝলক দেখা গিয়েছে। পরিচালক রাজকুমার হিরানি একেবারে অন্য আঙ্গিকে সঞ্জুর জীবনের ওঠা-নামার পর্বগুলির ঝলক টিজারে তুলে ধরেছেন। যদিও সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে টিজারের শেষ কিছু মুহূর্তে। তবে রণবীরকে দেখে বোঝা দায় যে আদৌ ইনি রণবীর নাকি সঞ্জয় দত্ত? ২৯ জুন মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। রণবীর কপূর ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন মণীষা কৈরালা, অনুষ্কা শর্মা, দিয়া মির্জা, পরেশ রাওয়াল, করিশ্মা তন্না এবং ভিকি কৌশল।