অস্কারের আগেই প্রচার নিয়ে বিতর্কের মুখে ‘আরআরআর’ টিম। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে জয়জয়কার ‘আরআরআর’-এর। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইতিমধ্যেই একাধিক সম্মান অর্জন করেছে এস এস রাজামৌলির ছবি। স্বীকৃতি পেয়েছে ‘গোল্ডেন গ্লোবস’, ‘ক্রিটিক্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডস’-এর মতো মঞ্চে। ‘আরআরআর’-এর গান ‘নাটু নাটু’ মন জয় করেছে স্টিভেন স্পিলবার্গ, জেমস ক্যামেরনের মতো কিংবদন্তি হলিউড পরিচালকদের। শুধু তাই নয়, ‘আরআরআর’ দেখে অভিভূত তাঁরা। বিশ্বের তাবড় তারকাদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই তেলুগু ছবি। কিন্তু এর মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। দিন কয়েক আগে এক অনুষ্ঠানে তেলুগু পরিচালক তামারেড্ডি ভরদ্বাজ মন্তব্য করেন ‘আরআরআর’ ছবির বাজেট নিয়ে। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
এক ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে তেলুগু পরিচালক তামারেড্ডি ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘রাজামৌলির ‘আরআরআর’ ছবির বাজেট ছিল ৬০০ কোটি টাকা। তার উপর অস্কারের প্রচারের জন্য ওঁরা আরও ৮০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। ওই টাকায় তো আমরা ৮-১০টা ছবি বানিয়ে ফেলব!’’ মুক্তির পর থেকেই খবরে থেকেছে ‘আরআরআর’। ছবি মুক্তির আগে প্রচার তো ছিলই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছবি স্বীকৃতি পাওয়ার পর তা আরও ফুলেফেঁপে উঠেছে। আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে যাতে কোনও ভাবে পিছিয়ে না পড়ে ছবি, সে কথা ভেবে প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি পরিচালক থেকে অভিনেতা, কেউই। ছবির প্রচারের পিছনে এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা নিয়ে কটাক্ষের সুর স্পষ্ট তামারেড্ডি ভরদ্বাজের মন্তব্যে।
পরিচালককে পাল্টা জবাব দিয়েছেন আরেক পরিচালক রাঘবেন্দ্র রাও। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, ‘‘এই প্রথম বিশ্বমঞ্চে পৌঁছেছে তেলুগু শিল্প। এই সাফল্যে প্রত্যেক তেলুগু অভিনেতা, পরিচালক ও শিল্পীর গর্বিত হওয়া উচিত।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যে ৮০ কোটি টাকা খরচের কথা বলা হচ্ছে, তার হিসাব কি আছে ওঁর কাছে? না কি উনি মনে করেন, জেমস ক্যামেরন ও স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো কিংবদন্তিরা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ‘আরআরআর’ ছবির প্রশংসা করেছেন?’’তামারেড্ডির বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য যে একেবারেই ভাল ভাবে নেননি রাঘবেন্দ্র রাও, তা স্পষ্ট ওঁর টুইট থেকে।