তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্তালিন সম্মানিত করলেন ‘রঘু’র অভিভাবকদের। ছবি: সংগৃহীত।
সাফল্যের আড়ালে যাঁরা থাকেন, অনেক সময়েই তাঁদের উপর থেকে প্রচারের আলো সরে যায়। সম্প্রতি অস্কার জিতেছে ভারতের স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। তার পর থেকে ছবির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস এবং ছবির প্রযোজক গুনীত মোঙ্গাকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কিন্তু যাঁদের জীবনের আধারে তৈরি এই তথ্যচিত্র সেই বোমান এবং বেলি যেন রয়ে গিয়েছেন আড়ালেই।
অস্কার জেতার পর থেকেই সংবাদমাধ্যম ভিড় করেছিল তামিলনাড়ুর এই দম্পতির বাড়িতে। প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে, তথ্যচিত্রটি এখনও দেখেননি। কিন্তু তাঁরা স্বীকার করেছিলেন যে নির্মাতারা তাঁদের তথ্যচিত্রের কিছু ঝলক দেখিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে অনেকেই এই আদিবাসী দম্পতির যোগ্য সম্মান দাবি করেছিলেন। এ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্তালিন ‘রঘু’র অভিভাবকদের সম্মানিত করলেন। তাঁদের দু’জনের হাতে তুলে দিলেন ২ লক্ষ টাকা। বিষয়টি স্তালিনের সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে জানা গিয়েছে।
দম্পতিদের সম্মানিত করছেন, এমন একটি ভিডিয়ো মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘এই তথ্যচিত্র অস্কার জেতার মাধ্যমে আমাদের অরণ্য জীবনের উপর আলোকপাত করেছে। বোমান এবং বেলি দু’জনকে আমি ১ লক্ষ করে টাকা দিয়েছি।’’ এরই সঙ্গে স্তালিন ঘোষণা করেছেন যে, তিনি থেপ্পাকড় এবং কোজ়িকামুঠি এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের ৯১ জন হস্তী প্রতিপালকের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বাড়ি তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৯ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
বিষয়টি জানার পর কার্তিকি এবং গুনীত দু’জনেই উচ্ছ্বসিত। গুনীত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় স্তালিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘গল্প বলার মধ্যে দিয়েই ফুটে ওঠে বাস্তবতা। আপনাকে ধন্যবাদ। খুবই ভাল পদক্ষেপ। আমি গর্বিত।’’ অন্য দিকে কার্তিকি লিখেছেন, ‘‘আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বোমান এবং বেলিকে সম্মানিত করা হয়েছে দেখে আমার প্রচণ্ড আনন্দ হচ্ছে।’’
তামিলনাড়ুর মুদুমালাই এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের প্রক্ষাপটে তৈরি এই তথ্যচিত্রে ‘রঘু’ নামক একটি অনাথ হস্তীশাবকের কথা বলা হয়েছে। হাতিটিকে বোমান ও বেলির প্রতিপালনের মধ্যে দিয়ে মানুষ এবং বন্যপ্রাণের পারস্পরিক সহাবস্থানের কথা বলা হয়েছে।