এইচ টু ও: এক সময়ে বলিউডে নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন। তার পর অভিনয় একটু কম আর অন্যান্য নানান কাজে হাত লাগান অভিনেতা সুনীল শেট্টি। তারই মধ্যে একটা হল সুনীলের রেস্তোঁরা। বিলাসবহুল এই রেস্তোঁরাটি মুম্বইয়ের খার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ঠিক বিপরীতে। পকেটে যদি ২০০০ টাকা থাকে, তা হলে স্বানন্দে পেটপুজো করতে পারেন এইচ টু ও তে। তবে এখানে একবার যিনি ঢুকবেন, লং আইল্যান্ড আইস টি একবার চেখে দেখবেনই।
রয়্যালটি ক্লাব: কখনও তিনি যোগা করতে ব্যস্ত। কখনও আবার রিয়্যালিটি শো-তে বিচারকের আসনে। তবে মুম্বইতে বান্দ্রায় একটি রেস্তোঁরাও রয়েছে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির। রেস্তোঁরার নাম রয়্যালটি ক্লাব। নানান ধরনের ইভেন্ট রয়্যালটি ক্লাবে হয়। আর সঙ্গে অনর্গল চলতেই থাকে বলিউড সেলেবদের আড্ডা। পার্টি করতে উৎসুকদের এক উপযুক্ত জায়গা এই রয়্যালটি ক্লাব। এই রেস্তোঁরার অভিনব শ্যাম্পেন লাউঞ্জ যে কারও নজর কাড়বে।
সামপ্লেস এলস্: অভিনয় জগৎ তাঁকে সেরকম জনপ্রিয়তা দিতে পারেনি। কেরিয়ারের ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে নিজের রেস্তোঁরা খুলে ফেলেছেন ধর্মেন্দ্র পুত্র ববি দেওল। তাঁর রেস্তোঁরার নাম সামপ্লেস এলস্। খাবার ও পানীয়ের অভিনবত্ব নভি মুম্বইয়ে ববির এই রেস্তোঁরার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দ্য এলবো রুম: একটা সময়ে বলিউডে বেশ কিছু হিট ছবি করেছেন তিনি। তিনি চাঙ্কি পাণ্ডে। তাঁর সমসাময়িক সহঅভিনেতাদের মধ্যে চাঙ্কিই প্রথম নিজের রেস্তোঁরা খোলেন। প্রত্যেক মঙ্গলবার তাঁর দ্য এলবো রুম-এ কাস্টমারদের জন্য আকর্ষণীয় অফারও থাকে। সে তালিকায় লাইভ বিবিকিউ অবধি হাজির থাকে। তবে এই রেস্তোঁরা বিখ্যাত ‘ওকোনমিয়াকি’র জন্য। জাপানিজ এই প্যানকেক-এ চিকেন থেকে সামুদ্রিক প্রাণী অবধি প্রায় সব কিছুই থাকে।
গন্ডোলা: এই রেস্তোঁরার মালিক অভিনেত্রী পেরিজাদ জোরাবিয়ান। এক্কেবারে গোনাগুনতি কয়েকটি ছবি করেছেন তিনি। তবে তাঁর এই রেস্তোঁরার ব্যবসা চলে রমরমিয়ে। চোখধাঁধানো অন্দরসজ্জায় সুসজ্জিত এই গন্ডোলা রেস্তোঁরাটি। ডাইনিং টেবিলের স্টাইলের জন্যই আরও ঝাঁ চকচকে দেখায় বান্দ্রার পালি হিলের কাছের এই রেস্তোঁরাটি।
বাঙালি মাসির কিচেন: অভিনয় দিয়ে অনেক আগেই ভক্তদের মন জিতেছেন সুস্মিতা সেন। তবে নভি মুম্বইতে তাঁর রেস্তোঁরার খাবার বাঙালিদের বরাবরই পছন্দের। হেন কোনও বাঙালি পদ নেই যে ‘বাঙালি মাসিজ কিচেন’-এ পাওয়া যায় না। সে ফুলকো লুচি-ছোলার ডাল হোক বা চিংড়ি মাছের মালাইকারি।
ল্যাপ, দ্য লাউঞ্জ: ২০০৯ সালে উদ্বোধন হয় অভিনেতা অর্জুন রামপালের এই রেস্তোঁরার। দিল্লির এই রেস্তোরাঁর লুক দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। পার্টি পাগলদের প্রিয় ডিস্কো হিসেবে ‘ল্যাপ, দ্য লাউঞ্জ’ এর স্থান শীর্ষে।