Swastika Mukherjee

রাতারাতি পাঠানকোটে কোভিড রোগীকে অক্সিজেন পাঠালেন স্বস্তিকা

Covid Help: একটি মুঠোফোনের সাহায্যে কলকাতা থেকে এত দূরে কী ভাবে রোগীর প্রয়োজন মেটালেন তিনি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ১৬:৩৮
Share:

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

প্রতিটি রাত তাঁর কাছে বিশেষ। প্রতি রাতেই তিনি নিজের মতো করে ভাল থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু শনিবারের রাত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কথাগুলো নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কেন? এক রাতের মধ্যে পাঠানকোটে কোভিড রোগীকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে পেরেছেন স্বস্তিকা। ইনস্টাগ্রামে শেয়ারও করেছেন সেই খবর। যার প্রতিটি ছত্রে ফুটে উঠেছে অভিনেত্রীর আনন্দ, স্বস্তি।

Advertisement

লম্বা পোস্টের শুরুতেই স্বস্তিকার দাবি, ‘মাঝ রাতে টুইটারে এক রোগী অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়ে যোগাযোগ করেন আমার সঙ্গে। তিনি পাঠানকোটে থাকেন। এ কথা জানাতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল'। অভিনেত্রীর কথায়, আচমকা ডাক পেয়ে তিনি এতটাই হতভম্ভ যে প্রথমে বুঝে উঠতে পারছিলেন না, পাঠানকোট কোথায় অবস্থিত! এক বার ভাবছিলেন জায়গাটি আফগানিস্তানে। তার পরেই মনে করেছেন, পাঠানকোট কাশ্মীরে অবস্থিত। মাথা ঠান্ডা করে ভাবতেই স্বস্তিকার মনে পড়ে পাঠানকোট পঞ্জাবে।

অবস্থান নিয়ে সমস্যা মেটার পরেই নতুন দুশ্চিন্তা স্বস্তিকার, তাঁর সম্বল একটি মুঠোফোন। তার সাহায্যে কলকাতা থেকে এত দূরে কী ভাবে রোগীর প্রয়োজন মেটাবেন? এর পরই মুঠোফোনে তিনি যোগাযোগ করতে আরম্ভ করেন চেনাজানা কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গে। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘যোগাযোগের সঙ্গে সঙ্গে সবাই সাড়া দিতে থাকেন। মুঠোফোনে সবাই একজোট হতেই রাতারাতি ব্যবস্থা হয়ে যায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের।’’ রোগীর প্রয়োজন মিটতেই এক রাশ তৃপ্তি জড়িয়ে ধরে স্বস্তিকাকে।

Advertisement

অকপট অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে স্বীকার করেছেন, রোজ রাতে তিনি মেয়ের ছোটবেলার ছবি দেখেন। ফিরে যান অতীতে। স্মৃতি রোমন্থন তাঁর প্রতি রাতের ঘুমপাড়ানিয়া। তার থেকেও যেন বেশি আনন্দ পেলেন অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়ে। এর জন্য তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আলাদা করে তাই কাউকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করতে চান না।

পাশাপাশি জানালেন, অতিমারি তাঁকে শিখিয়ে দিল, একজোট হলে কোনও কাজই অসম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement