স্বস্তিকা দত্ত
আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘নিজেকে আপাদমস্তক বদলাব।’’ প্রতি দিন সে ভাবেই তাঁর অনুরাগীদের সামনে নিজেকে মেলে ধরছেন স্বস্তিকা দত্ত। চুলের ছাঁদ বদল সেই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ। মঙ্গলবার রাতে অভিনেত্রী ধরা দিলেন আলো-আঁধারির মধ্যে। স্বস্তিকার শরীর জুড়ে আলো-ছায়ার অভিসার। তারই মধ্যে স্পষ্ট তাঁর কালো অন্তর্বাস। উন্মুক্ত বক্ষভাঁজ। আভাস বক্ষযুগলেরও! এত দিন ধরে শাড়িতে সুন্দরী ‘রাধিকা’-কে দেখে অভ্যস্ত সবাই। আচমকা সাহসী স্বস্তিকাকে দেখে তাই যেন শঙ্কিত নেটমাধ্যম। প্রশ্নও উঠেছে, ‘অকারণে বক্ষযুগল দেখাচ্ছ কেন?’
কয়েক দিন ধরেই স্বস্তিকা তাঁর নয়া ‘লুক’-এ মাতিয়ে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম। কখনও ডেনিম জ্যাকেটের ফাঁকে তাঁর অবাধ্য যৌবনের ইশারা। কখনও সাদা শর্ট ড্রেসে তিনি উচ্ছ্বল, মোহময়ী। অভিনেত্রী এর আগে নিজেকে এ ভাবে ভাঙেননি। আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকার দাবি ছিল, ‘‘আমি যে শুধুই ‘রাধিকা’ নই, সেটা বোঝানোর সময় এসেছে। এই স্বস্তিকার ছোট চুল। ছোট পোশাকেও সে স্বচ্ছন্দ, সাহসী! এ ভাবেই নিজের এবং দর্শকদের স্বাদ বদলাতে খুব শিগগিরি আসছি নেটমাধ্যমে।’’
‘ভজগোবিন্দ’ ধারাবাহিকের ‘ডালি’-র নতুন রূপে বাকি নেটাগরিকেরা কতটা আবিষ্ট? নিন্দার পাশাপাশি প্রশংসাও রয়েছে মন্তব্য বিভাগে। এক জন কাব্য করেছেন, ‘অন্ধকারের লুকোচরি, আলো বলে তোমার চেহারাতে একটু পড়ি’। আরেক জনের যদিও দ্বিধা, ‘ও বাবা! কি সব দেখা যাচ্ছে, লজ্জা লাগে!’