সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ফাইল চিত্র
কারাগারের সহবন্দিদের সঙ্গে দারুণ ভাব জমিয়ে ফেলেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। প্রয়াত সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্ধবী ছিলেন তিনি। অভিনেতার মৃত্যুর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রিয়ারও কারাবাস হয়। তবে গোটা বিষয়টি চুপচাপ মেনে নিয়েছিলেন তিনি। বাগ্বিতণ্ডায় যাননি। যে ক’দিন গারদের ভিতরে ছিলেন, হাসি-গান-আড্ডায় ভরিয়ে রেখেছিলেন সবাইকে। সম্প্রতি মানবাধিকার আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজের কথায় উঠে এল সেই স্মৃতি। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন রিয়াকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। ৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করে সদ্য ছাড়া পেয়েছেন তিনিও।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ঠিকানা হয় মুম্বইয়ের বাইকুল্লা সংশোধনাগার। রিয়া গিয়ে পড়েন বন্দিদের মাঝে। এক মাস পর জামিনে ছাড়া পান। তার মধ্যেই বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেন সবার সঙ্গে। মেয়াদ শেষের দিন নাকি খুব নাচগান করেছিলেন। সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিলেন, জানান সুধা। রিয়াকে অদ্ভুত পরিস্থিতিতে ফাঁসানো হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। রিয়া সম্পর্কে আরও কথা বলতে গিয়ে সুধা বলেন, “কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও রিয়া আশ্চর্য রকম শান্ত ছিল। সবার প্রতি উদার মন, বিশেষ করে বাচ্চাদের সঙ্গে ও সুন্দর ভাবে মিশে যেত। সবাই ওকে পছন্দ করত। ওর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পড়ে ছিল। সেই দিয়েই ব্যারাকের সবার জন্য মিষ্টি আনাতে দিল। ওকে যে দিন ছাড়া হল, আমরা সবাই বিদায় জানাতে গিয়েছিলাম নীচে।”
সুধার দাবি, বন্দি মাত্রেই খারাপ কিংবা অপরাধী নয়। তাঁরা বেশির ভাগই পরিস্থিতির শিকার। রিয়া তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্তের জন্য মাদক কিনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া আর তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী-সহ আরও ৩৪ জনের বিরুদ্ধে খসড়া চার্জশিট দাখিল করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো।