সুশান্ত সিংহ রাজপুত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্কের নাকি ক্রমশ অবনতি ঘটছিল। এক রাতে তিন দিদির সঙ্গে নাকি জোর ঝামেলা হয়েছিল সুশান্তের। জল এতদূর গড়ায় যে শেষ পর্যন্ত নাকি সুশান্তকেই ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে! সংবাদমাধ্যমে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। শ্রুতিকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। সুশান্ত কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকেও।
শ্রুতির কৌঁসুলি অশোক সারাওগি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রিয়া আসার পর থেকেই যে সুশান্ত মাদক নেন এ কথা ভুল। আমার মক্কেল তাঁকে কাছ থেকে দেখেছে। সোহেল সাগর, সুশান্তের প্রাক্তন দেহরক্ষী এবং চালকই তাঁকে মাদকের সন্ধান এনে দিতেন”। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, সোহেল এবং তাঁর আরও দুই বন্ধু আয়ুশ, আনন্দী ও সুশান্ত মিলে সুশান্তের বাড়িতেই একসঙ্গে মাদক সেবন করতেন। তাঁর বাড়িতে মাঝেমধ্যেই পার্টির আয়োজন করা হত যেখানে উপস্থিত থাকতেন সুশান্তের দিদিরাও। অশোকের প্রশ্ন, ওই সব পার্টিতেও তো মাদক সেবন করা হত। তখন কি তাঁর দিদিরা সে ব্যাপারে কিছু আঁচ পাননি? সুশান্তের এক দিদি মদে আসক্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথাও প্রকাশ্যে এনেছেন অশোক। তিনি জানান, মাঝেমধ্যেই নাকি সেই গ্রুপে একে ৪৭ (মাদকের সাঙ্কেতিক নাম) নিয়ে আলোচনা হত। সুশান্ত এবং রিয়া সহ ওই গ্রুপে যারা যারা ছিলেন তাঁরা সবাই কোনও না কোনও সময় মাদক নিয়েছেন বলে জানান অশোক।
আরও পড়ুন- প্রস্থেটিক মেকআপ দেখানোয় খামতি, ফের ট্রোলড টিম ‘কৃষ্ণকলি’
এর আগে রিয়া একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্কের নাকি ক্রমশ অবনতি ঘটছিল। একই সুর শ্রুতির গলাতেও। শ্রুতির হয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, “গত বছর নভেম্বরে সুশান্তের তিন বোন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু নভেম্বরের ২৭ তারিখ রাতে সম্ভবত ভাই বোনের মধ্যে জোর ঝামেলা হয়। সুশান্তের দিদিরা তাঁর বাড়ি ছেড়ে পাশেই ললিত হোটেলে চলে যান। সুশান্তও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে খার-এর হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।“
অশোক আরও জানান, সে সময় অভিনেতার বাবা তাঁকে ফোন করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন। সুশান্তের বক্তব্য ছিল, দিদিদের সঙ্গে কথা বলেই যদি এই অবস্থা হয় তো বাবার সঙ্গে কথা বললে কী হবে? যদিও সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক যে খুবই ভাল ছিল সে কথা দিন কয়েক আগে এক ভিডিয়ো শেয়ার করে বার্তা দিয়েছেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা। তিনি আরও বলেছেন, “রিয়া মিথ্যে বলছে”।
শ্রুতি ইডিকে জানিয়েছেন সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ রিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর পরিবার করেছে তা সঠিক নয়। কারণ শ্রুতির মতে সুশান্তের অ্যাকাউন্টে, ফিক্সড ডিপোজিট মিলিয়ে ৮ কোটি টাকার মতো ছিল। যার মধ্যে বেশিরভাগেরই নমিনি ছিলেন সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা।