গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
একজন কতখানি আপন হলে তাঁর চলে যাওয়া স্বজন হারানোর ব্যথার মতো লাগে? সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে টলিপাড়া চেনে এই প্রজন্মের এক প্রতিভাবান অভিনেতা হিসেবে। তিনি বলিপাড়ারই হোন বা টলিপাড়ার, তাঁর চলে যাওয়া কেউ-ই মেনে নিতে পারছে না।
সেই শোকে মুহ্যমান সদ্য মা হওয়া কোয়েল মল্লিক, সাংসদ-তারকা দেব, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক-প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী, দেবলীনা কুমার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
কোয়েল নিজে সাইকোলজির ছাত্রী। তাই তিনি জানেন, শরীরের মতোই মনখারাপ হতে পারে। মনোবিশ্লেষককে দরকার হতে পারে। ওষুধ খেতেও হতে পারে। কিন্তু যে ভাবেই হোক, মন ভাল রাখতে হবে সবার আগে। সেই জরুরি বার্তা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন ভিডিয়ো আকারে। সঙ্গে বলেছেন, মন খারাপ হলে তিনিও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। রাজ চক্রবর্তী ২০১৮-য় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মুখোমুখি হওয়ার ছবি দিয়েছেন সোশ্যালে। সঙ্গে আপসোস, "এমন প্রাণবন্ত অভিনেতার অপমৃত্যুর শোক জানানোর কথা সত্যিই খুঁজে পাচ্ছি না!"
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। মাত্র ৩৪ বছরে সফল কেরিয়ার গড়েও কেন মৃত্যুকেই বাছলেন তিনি? অবাক প্রশ্ন তাঁর। সঙ্গে তাঁর চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত নয় বন্ধুদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘আমরা সবাই প্রেসার কুকার। বন্ধু আমাদের সেফটি ভাল্ভ। তাই নিজেকে উজাড় করে দিন তাঁদের কাছে। ভাল-মন্দ সবটাই ভাগ করুন...যতটা করা যায়।’
দেবের আপসোস, ‘ছিছোড়ে’-তে নিজেই বললেন, "সুইসাইড কোনও সলিউশন নয়। তার পরে সেটাই নিজে করলেন! বড্ড তাড়াহুড়ো করে যেন চলে গেলেন"। দেবলীনা কুমার লেখেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুত নেই! মানতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এ ভাবে এক প্রতিভার অপমৃত্যু মানা যায় না।
সুশান্তের মৃত্যুর খবর শোনার পরে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, “এটা কী হল! এই সমাপতনই কি কাম্য? এ বারে শান্তি পাবেন সুশান্ত?” প্রশ্ন অনেক।
সুশান্তের জীবন ও মৃত্যু নিয়ে উত্তর কোথাও মেলেনি। অপেক্ষাতে টলিউডও।