Sushant Singh Rajput

সুশান্তের আত্মহত্যার পিছনে পেশাগত রেষারেষি! তদন্ত হবে, জানালেন মন্ত্রী

প্রভাবশালীদের দাপটে বলিউডে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ১৪:৩১
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রতিভার জোরে খুব কম সময়ের মধ্যেই নাম, যশ, খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে, গত দু’দিন ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন সকলেই। এ বার তা নিয়ে তদন্তে নামতে চলেছে মুম্বই পুলিশ। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এ কথা জানিয়েছেন। শুধুমাত্র মানসিক অবসাদ না, পেশাগত রেষারেষিজনিত চাপ, ঠিক কী কারণে সুশান্ত এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা খতিয়ে দেখবে তারা।

গত রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় পুলিশ। ঠিক কী কারণে সুশান্ত এমন পদক্ষেপ করলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা উঠে এসেছে। প্রভাবশালীদের দাপটে বলিউডে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

সেই অভিযোগই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। অনিল দেশমুখ টুইটারে লেখেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পেশাগত রেষারেষির কারণে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এই দিকটাও খতিয়ে দেখবে মুম্বই পুলিশ।’’

Advertisement

অনিল দেশমুখের টুইট।

আরও পড়ুন: মানতে পারেননি দেওরের পরিণতি, সুশান্তের শেষকৃত্য চলাকালীন বৌদির মৃত্যু

Advertisement

রবিবার বান্দ্রার যে ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুশান্ত। চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। আর তার পরেই আত্মঘাতী হন তিনি।

একই সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুতে বলিউডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। টেলিভিশন থেকে বড়পর্দায় পা রাখার পর ‘কাই পো চে’, ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘পিকে’, ‘কেদারনাথ’, ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘ছিছোড়ে’-র মতো সফল ছবি উপহার দিলেও, সেই অর্থে বলিউডে তাঁর কোনও গডফাদার ছিল না। তাই স্বীকৃতি দেওয়া তো দূর, স্বজনপোষণকারীরা তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি বলে অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন: স্বজনপোষণ, গুন্ডাগিরি বলিউডে জলভাত, ক’জন সুশান্তকে বাঁচাবেন? কোয়েনা

বলিউডে সুশান্তের সতীর্থ কলাকুশলীদের কেউ কেউ তো বটেই, সম্পর্কে তাঁর তুতো ভাই তথা বিহারের বিধায়ক নীরজ বাবলুও একই অভিযোগ করেন। তাতেই মহারাষ্ট্র সরকার নড়েচড়ে বসেছে বলে দাবি নীরজ বাবলুর। তাঁর কথায়, ‘‘ও চাপে ছিল। ৩৩ বছর বয়সে খ্যাতির শীর্ষে উঠে আসায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ও বিপদ হয়ে উঠেছিল। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে আর্জি জানিয়েছিলাম আমরা, যা মহারাষ্ট্র সরকার মেনে নিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement