রিয়া চক্রবর্তী।
প্রায় দশ ঘণ্টা ইডি অফিসে জেরার পর অবশেষে ইডি অফিস থেকে বের হলেন রিয়া চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীও। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ ভাই এবং বাবার সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে ঢুকতে দেখা যায় রিয়াকে। ওই একই দিনে ডাকা হয় রিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং রিয়া-সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও। এই নিয়ে রিয়া এবং শ্রুতিকে দ্বিতীয়বার, রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং সিদ্ধার্থ পিঠানিকে প্রথম বার এবং রিয়ার ভাই শৌভিককে তিন বার ডেকে পাঠাল ইডি।
বেলা ১১টা নাগাদ ভাই এবং বাবার সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে রিয়ার প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই ইডি দফতরে আসেন শ্রুতি। তারও বেশ কিছুক্ষণ বেলা দু’টো নাগাদ ইডি-র অফিসে ঢুকতে দেখা যায় সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। সূত্রের খবর, আয়কর দফতর থেকে প্রাপ্ত অনুযায়ী বছরে ১৪-১৫ লক্ষ টাকা আয় করা রিয়া কী করে মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় দু’টি ফ্ল্যাট কিনলেন তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রিয়াকে। রিয়ার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। যিনি মাসে পেনশন বাবদ এক লক্ষ টাকা পান। জানা যাচ্ছে, রিয়া এবং তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বয়ানে অসঙ্গতি মেলাতেই এই দীর্ঘ জেরা। একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ইডির কাছে এসে পৌঁছেছে রিয়ার দুই বছরের আয়ের সবিস্তার হিসেব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে রিয়ার আয় কমলেও স্থাবর সম্পত্তি দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেয়ার মার্কেটেও বিনিয়োগ বৃদ্ধি রিয়ার। ৩৪ লক্ষ টাকা থেকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪২ লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সুশান্তের বাবা কেকে সিংহ এবং দিদি রানি সিংহের বয়ান রেকর্ড করতে সুশান্তের জামাইবাবুর বাড়ি হরিয়ানার ফরিদাবাদে যাবে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের একটি দল।
#rheachakrobarty waits for her dad to arrive today at the ED office for #SushantSinghRajputDeathCase
A post shared by Viral Bhayani (@viralbhayani) on
এর আগে গত ৮ অগস্ট রিয়াকে একপ্রস্থ জেরা করেছিল ইডি। ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্যালার্ড এস্টেটে ইডি-র দফতরে পৌঁছেছিলেন রিয়া। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই শৌভিককে সেখান থেকে বার হতে দেখা যায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল রিয়াকে।শনিবার দুপুরে শৌভিকের দ্বিতীয় বার ডাক পড়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর দফতরে। প্রায় আঠারো ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে।
পটনায় করা সুশান্তের বাবা কেকে সিংহের এফআইআরে রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তের টাকা তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ইডি তদন্ত শুরু করে পটনায় করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে ইডি-র কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, আপাতত তাঁর মক্কেলকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ না-করা হয়। ইডি যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।