স্মৃতি: সুশান্ত এবং কৃতী
ভেঙে পড়েছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। ভেঙে পড়লেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আরেক ‘প্রাক্তন’ কৃতী শ্যাননও। সোমবারে নশ্বর পৃথিবীর লীলা সামলে ফের ফিরে গেছেন মহাকাশে। রয়ে গেছে তাঁর অজস্র, অসংখ্য ধূসর-রঙিন স্মৃতি। সেই স্মৃতি ভার হয়ে ঠেকেছে অঙ্কিতার কাছে। যার টানে ৬ বছরের বিচ্ছেদ সরিয়ে তিনি ছুটে এসেছেন সুশান্তের মু্ম্বইয়ের ফ্ল্যাটে।
সেই টানে সোশ্যালে অনর্গল হলেন কৃতীও। কৃতীর সঙ্গে সুশান্তের আলাপ ‘রাবতা’ ছবির সেটে। ছবি সুপারফ্লপ। কিন্তু রিল রসায়ন ক্লিক করে গেল রিয়েলে। সেই ভাললাগা এত দ্রুত ভাল লাগার থেকেও বাড়তি কিছু হয়ে উঠল যে সুশান্ত ভুললেন ৬ বছরের সঙ্গিনী অঙ্কিতাকেও। যে অঙ্কিতা সুশান্তকে পাবেন বলে কাজ ছেড়ে সংসারী হয়ে উঠছিলেন।
যার মোহে ভুলে অঙ্কিতার দেখা ঘরের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চাননি সুশান্ত।
গতকাল সুশান্তের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার পর আজ সোশ্যালে শ্যাননের স্বীকারোক্তি, ‘সুশ, জানতাম তোমার মন যেমন তোমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু তেমনি তোমার ভীষণ, ভী-ষ-ণ খারাপ শত্রু। তোমার সেই মন আজ আমায় ভেঙে দিয়ে চলে গেল! যেই তুমি নেই শুনলাম, মনে হল আমার হৃদয়ের আধখানা অংশ হারিয়ে ফেললাম!'
অর্গলমুক্ত হয়ে কৃতী আরও অকপট, ‘খুব কষ্ট হল জেনে, এমন একটা সময়ও তোমার গেছে যখন বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়াটাই সহজ হয়ে উঠেছিল!’ অর্থাৎ, অঙ্কিতা বা রিয়ার মতো তিনিও খোঁজ রাখতেন না সুশান্তের যন্ত্রণার!
A post shared by Kriti (@kritisanon) on
তাই অভিনেত্রীর কান্না জড়ানো আপসোস, ‘তুমি যদি সবাইকে এ ভাবে না সরিয়ে দিতে...আমি যদি যন্ত্রণায় ভেঙে টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যাওয়া তোমার মন জোড়া লাগাতে পারতাম...যদি তোমার ব্যথার প্রলেপ হয়ে উঠতে পারতাম!’
কৃতীর এই আপসোস সারাজীবনের। ঠিক যেমন অঙ্কিতার। এবং রিয়ারও, ‘বাকি আধখানা হৃদয় নিয়েই পুরো জীবন আমায় বেঁচে থাকতে হবে। যেখানে জুড়ে থাকবে শুধুই তুমি....।’
গতকাল, সুশান্তকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে প্রকৃতি কেঁদেছে অঝোরে। তার পরের দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে মুখর ‘পুরুষ’ সুশান্তের জীবনে নানা নামে আসা ‘প্রকৃতি’ অঙ্কিতা, কৃতী, রিয়া।
এটাই তো হওয়ার ছিল?