Entertainment News

‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর প্রদর্শন বন্ধ হওয়ায় রাজ্যকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভবিষ্যতের ভূত’ মুক্তি পাওয়ার একদিন পরেই রাজ্যের প্রায় সব সিনেমাহল থেকে কোনও অজানা কারণে ছবিটি তুলে নেন হল মালিকরা। তুলে নেওয়ার কোনও স্পষ্ট কারণ তাঁরা জানাতে পারেননি। বরং ‘ওপরমহল’-এর নির্দেশের কথা বলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০৩
Share:

অনীক দত্ত পরিচালিত ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর প্রদর্শন অলিখিত ভাবে বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কোনও ছবির প্রদর্শন এ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া যায় না বলে আগেই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সমাজে শিল্পীর স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ক্রমাগত বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মত, জনতার ভয়ে বাক্‌স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা যায় না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভবিষ্যতের ভূত’ মুক্তি পাওয়ার একদিন পরেই রাজ্যের প্রায় সব সিনেমাহল থেকে কোনও অজানা কারণে ছবিটি তুলে নেন হল মালিকরা। তুলে নেওয়ার কোনও স্পষ্ট কারণ তাঁরা জানাতে পারেননি। বরং ‘ওপরমহল’-এর নির্দেশের কথা বলেছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন, ভুল চিকিত্সায় মৃত্যুমুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন জুহি!

এ নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ছবির প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন হল মালিকের কাছে সিনেমাটি সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে লিখিত নোটিসও পাঠান। গোটা বিষয়টি নিয়ে কলাকুশলীদের সংগঠন ইম্পা এবং ফেডারেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন ছবির প্রযোজক এবং পরিচালক। কিন্তু তার পরেও ছবিটি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। ফলে দীর্ঘ এক মাস ছবিটির প্রর্দশন আটকে থাকে। এর পর প্রযোজক শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপেই গত ৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত সিনেমা হলে ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ফের প্রদর্শন শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন, সাহসী পোশাকে আমিশার প্রশ্ন, ‘ট্যাটুটা খুঁজে পাচ্ছ?’

রায় ঘোষণার পর পরিচালক অনীক দত্ত আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন,‘‘আদালত নিশ্চয়ই বুঝেছেন যা হয়েছিল ঠিক হয়নি। তাই এই নির্দেশ দিয়েছেন। প্রযোজকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল, সেটার কিছুটা সুরাহা হবে। তবে মনে রাখতে হবে, জরিমানার যে টাকাটা রাজ্য সরকার দেবে সেটাও আপনার আমার দেওয়া আয়করের টাকা।’’ প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ চাইনি। আদালতই নিজে থেকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তিন সপ্তাহ ছবিটা বন্ধ ছিল। আর্থিক ক্ষতি তো হয়েইছে। তার কাছে ২০ লক্ষ টাকাটা খুব বড় ব্যাপার নয়। তবে এই নির্দেশের দ্বিতীয় অংশ আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পীর বাক‌্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার বিরুদ্ধে বলেছে আদালত। এতে সকলে বুঝতে পারবে ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে আর্থিক জরিমানাও হতে পারে।’’

(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement