ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় পা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। যদিও তাতে দমে যাননি। কৃত্রিম ‘জয়পুর ফুট’ নিয়ে সব প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়েছেন সুধা চন্দ্রন। ভারতনাট্যম থেকে সিনেমা বা টিভির কাজ পর্যন্ত, সবই চালিয়ে গিয়েছেন একসঙ্গে। কিন্তু এত সব অসাধ্য সাধনের অনুপ্রেরণার কথা জিজ্ঞেস করলে সটান জবাব দেন, ‘‘ব্যর্থতা।’’ ব্যর্থতাই নাকি তাঁর অনুপ্রেরণা। জীবনে কখনও ব্যর্থ হবেন না, এই সংকল্প করেন সেই ছোটবেলায়। টানা ৩৩ বছর ধরে যুক্ত আছেন ফিল্ম আর টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন ‘নাচে ময়ূরী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। তবে শেষ দু’বছর নতুন কোনও কাজ হাতে নেননি। কেন এই বিরতি? ‘‘টিভির ‘পরদেশ মে হ্যায় মেরা দিল’য়ের জন্য নিজেকে তৈরি করছিলাম। এখন টিভি অনেক পরিণত হয়েছে। দর্শক অনেক বেশি সমঝদার। এখন আর ফাঁকি দেওয়া যাবে না তাঁদের,’’ বলেন তিনি। যদিও মানছেন বিদেশি টিভি সিরিয়ালের গুণমানে পৌঁছতে এখনও অনেক সময় লাগবে ভারতীয় টেলিভিশনের। তবে তিনি মনে করেন, অবস্থা দ্রুত বদলাচ্ছে। কিন্তু এই সিরিয়ালেও তো তিনি নেগেটিভ চরিত্রে। আগের সিরিয়ালেও ছিল একই রকম চরিত্র। টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছেন না? ‘‘একেবারে না। আমি এখনও প্রত্যেকটা চরিত্রের জন্য সময় দিই। প্রতিদিন হোমওয়ার্ক করি। নিজের ইনপুটস দিই পরিচালককে,’’ বলেন তিনি। আর সিনেমা? সেটাও তো অনেকদিন করছেন না? ‘‘সিনেমার পরিচালক-প্রযোজকরা হয়তো ভাবে আমি টিভির কাজে ব্যস্ত। আসলে সত্যিই তাই। দু’বছর আগে তো একসঙ্গে চারটে সিরিয়ালেও কাজ করছিলাম। এবার একটু ফাঁকা আছি। দেখি কেউ যদি ডাকে,’’ হাসতে হাসতে বলেন সুধা চন্দ্রন।