১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল রমা দাশগুপ্ত, পরে যিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, জন্ম গ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের পাবনা শহরে। পাবনার হেমসাগর লেনের সেই বাড়িতে তাঁর জন্মদিন পালন করল সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। কলকাতায় মহানায়িকার বাসগৃহ অটুট না থাকলেও বাংলাদেশের পাবনায় সুচিত্রাপ্রেমীরা লড়াই করে ঐতিহ্য হিসেবে রক্ষা করেছেন সুচিত্রা সেনের জন্মভিটে।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেন
আজ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের। বেঁচে থাকলে নব্বই পেরিয়ে যেতেন এ বার। খ্যাতির শীর্ষে থাকতে থাকতেই অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর বিন্দু মাত্র যোগ রাখেননি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে। তবু আজও সুচিত্রা সেন মানুষের মনে অম্লান।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল রমা দাশগুপ্ত, পরে যিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, জন্ম গ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের পাবনা শহরে। পাবনার হেমসাগর লেনের সেই বাড়িতে তাঁর জন্মদিন পালন করল সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। কলকাতায় মহানায়িকার বাসগৃহ অটুট না থাকলেও বাংলাদেশের পাবনায় সুচিত্রাপ্রেমীরা লড়াই করে ঐতিহ্য হিসেবে রক্ষা করেছেন সুচিত্রা সেনের জন্মভিটে।
সুচিত্রা পাবনার মহাকালী পাঠশালায় এবং পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে এ পার বাংলায় চলে আসেন। তখন তাঁর ও পার বাংলার বাড়িটি প্রথমে বাংলাদেশের জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলে যায়। পরে দখল হয়ে যায় সেই বাড়ি। সুচিত্রাপ্রেমীদের আন্দোলন এবং আইনি লড়াইয়ের ফলে ২০১৫ সালে বাড়িটি দখলমুক্ত হয় এবং আবার জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ফিরে আসে।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতিকে ধরে রাখা এবং তাঁকে স্মরণ করার জন্য ২০০৪ সাল থেকে পাবনায় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সেই মতোই বুধবার সকাল ১১টায় মহানায়িকার আদি বাড়িতে তাঁর মূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সুচিত্রা সেনের স্মৃতি বিজড়িত পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের এই বাড়িতে সুচিত্রা স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার দাবি তোলেন সুচিত্রাপ্রেমীরা।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি নায়িকার স্মৃতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশি অনুরাগীরা যা করেছেন, তাতে বিস্মিত ও কৃতজ্ঞ টলিউডের প্রবীণেরা।