সুশান্ত সিংহ রাজপুত।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত ঘিরে সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আর এক লড়াই। তদন্তভার কার হাতে থাকবে, মহারাষ্ট্র না বিহার পুলিশ। এক জায়গার নায়ক ছিলেন তিনি, আর এক রাজ্যের ঘরের ছেলে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, যে হেতু সেই রাজ্যের রাজধানী শহরে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে, অতএব তদন্তের ক্ষমতা অবশ্যই তাদের। এ দিকে, বিহার পুলিশ বলছে, সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠারও আগে সুশান্তের বাবা তাদের কাছেই এফআইআর দায়ের করেছিলেন। দুই রাজ্যের আইনি লড়াইয়ের মাঝখানে ঢুকে পড়েছে রাজনীতির ছকও। এ বছর অক্টোবরেই বিহারে বিধানসভা ভোট। ফলে ঘরের ছেলের অকালমৃত্যু এবং তার তদন্ত অবশ্যই প্রভাব ফেলবে নীতীশকুমার সরকারের ভবিষ্যতের উপর। এ দিকে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় রয়েছে জেডিইউ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনা। ফলে সে দিক থেকেও জটিলতা বাড়ছে।
গত ১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সুশান্তের দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। তা হলে প্রশ্ন উঠছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদি মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়েই গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কি তদন্ত বন্ধ করে দেবে পুলিশ, না কি নতুন করে এফআইআর দায়ের করবে। বিহার পুলিশের দাবি, এ ভাবে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্ভব নয়। সুতরাং, তদন্তভার তাদের হাতেই আসা উচিত। এই টানাপড়েনে মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারকে এক হাত নিয়ে রাজ্যসভার বিজেপির সাংসদ সুব্রমনিয়ন স্বামী বলেছেন, “সুশান্তের হত্যা আসলে বলিউডের ওয়াটারলু এবং ওয়াটারগেট।’’ তিনি আজ টুইট করেন, ‘‘যত দিন না অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, আমরা হাল ছাড়ব না।’’